হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

বিজিবি টেকনাফের হ্নীলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা মুল্যের ১ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। তবে উভয় অভিযানেই ইয়াবা চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। এছাড়া আটককৃত নৌকাটি হ্নীলা শুল্ক আফিসে জমা করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি’র অতিরিক্ত পরিচালক ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ইকবাল আহমেদ ১৮ ফেব্রæয়ারী জানান ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপির সুবেদার মোঃ আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টহল দল ১৭ ফেব্রæয়ারি গভীর রাতে বর্ণিত এলাকায় টহলে গমন করতঃ কেওড়া বাগানের ভেতর ওঁৎ পেতে থাকে। কিছুক্ষণ পর টহল দল মায়ানমার হতে একটি হস্তচালিত নৌকা বাংলাদেশের দিকে আসতে দেখে নদীর কিনারায় আসার জন্য অপেক্ষারত থাকে। পরবর্তীতে নৌকাটি অবরাং নাফ নদীর কিনারায় পৌঁছলে ৫-৬ জন ব্যক্তি ৩টি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ নদীর পাড়ে নামা মাত্রই টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। আকস্মিক বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই ইয়াবা পাচারকারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তাদের সাথে থাকা বস্তাগুলো ফেলে নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতার কেটে শুন্য রেখা অতিক্রম করে মায়ানমারের দিকে চলে যায়। অতঃপর টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া বস্তাগুলো খুলে গণনা করে ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১ লক্ষ ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১০ হাজার টাকা মূল্যমানের ১টি হস্তচালিত নৌকা আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে। এছাড়াও আটককৃত নৌকাটি হ্নীলা শুল্ক আফিসে জমা করা হয়েছে’।

তিনি আরও জানান ‘বিশ্বস্থ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় মায়ানমার হতে ইয়াবার একটি চালান হ্নীলা ইউনিয়নের আনোয়ার প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপির সুবেদার মোঃ আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল ১৮ ফেব্রæয়ারি ভোর রাতে দ্রæত বর্ণিত স্থানে গমন করতঃ উক্ত প্রজেক্টের উত্তর পার্শ্বে সরু রাস্তার নীচে ওঁৎ পেতে থাকে। এসময় টহল দল ৩ জন লোককে লবণ মাঠের ভেতর দিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করে। এমতাবস্থায় ইয়াবা পাচারকারীরা কর্দমাক্ত লবণ মাঠের মধ্য দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহল দল তাদের পিছু ধাওয়া করে। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা তাদের কাছে থাকা একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ ফেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর চলে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। অতঃপর টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া ব্যাগটি খুলে গণনা করে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। যা পরবর্তীতে উর্ধতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে’।