এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালীতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।এতে অগ্নিকান্ডে আনুমানিক ২৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার (১৫ফেব্রুয়ারী)ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পুরাতন ফেরীঘাট (জীপ ষ্টেশন) এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।সংবাদ পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।এদিকে বদরখালীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।অগ্নিকান্ডে ঘটনার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর।

অগ্নিকান্ডে ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর বলেন, বুধবার রাত্রে পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় দোকান ব্যবসায়ীরা যার যার মতো করে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান।বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন সৃষ্টি হয়ে মূহুর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় ৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।পরে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী পৌছে অন্যান্য দোকান অাগুন নিয়ন্ত্রণ এনে অবশিষ্ট ১৫টি দোকান পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন।পুড়ে যাওয়া দোকানের মধ্যে ১টি পানের দোকান, ৩টি চায়ের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ওই সময় আরো ৩টি কুলিং কর্ণার দোকান পুড়ে যায় বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, ইউপি দেয়া তথ্যমতে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে যে সব ব্যাক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা হলেন,দোকানের মালিক কবির আহমদের ক্ষতি হয়েছে ১০লক্ষ টাকা,জিয়াবুল কুলিং কর্ণারের মালিক জিয়াবুল করিমের ২লক্ষ টাকা,বেলাল কুলিং কর্ণারের মালিক বেলাল উদ্দিনের ২লক্ষ টাকা,করিম পান বিতানের মালিক মো:করিমের ৭০হাজার টাকা,সাকিব ভাত ঘরের মালিক আবদুল মন্নানের ১লক্ষ ৭০হাজার টাকা,বৈশাখী হোটেলের মালিক সিরাজ উদ্দিনের ২লক্ষ টাকা,দোকানের মালিক আজমের ৩লক্ষ টাকা,কামাল কুলিং কর্ণারের মালিক কামাল উদ্দিনের ২লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে।এছাড়াও আশ পাশের বেশ কয়েকটি দোকান আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানায়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বলেন,বুধবার সকালের দিকে উপজেলা বদরখালী ইউনিয়নে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া দোকান সমূহ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়।এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান খাইরুল বশরকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে উপজেলা প্রশাসনকে তাদের তালিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাতে পেলে তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।