মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
বান্দরবান সীমান্তে সন্ত্রাসীদের সাথে নিরাপত্তাবাহিনীর থেমে থেমে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলসহ আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের দুর্গম লতাঝিরি এলাকায় অস্ত্রধারী ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অবস্থানের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান শুরু করে। সন্ত্রাসীরা অভিযানের উপস্থিতি টের পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে।
দু পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে কয়েকদফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এ সংবাদ লিখাপর্যন্ত সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত ছিল। এ ঘটনায় কাউকে আটক কিংবা কোনো হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি। গোলাগুলির বিষয়টি স্বীকার করেছেন সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হোসেন জানান, লতাঝিরি পাহাড়ে অস্ত্রধারী কিছু সন্ত্রাসী কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছিল। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে অভিযানে গেলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সাথে সেনা সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলি বন্ধ হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাস্থল’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত দুই গাড়ি সদস্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রুপটি রুমা উপজেলার পাইন্দু মৌজার আলিচু পাড়া হয়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার লতাঝিরি পাহাড়ের অরণ্যে অবস্থান নেয়। ছয়সাতদিন ধরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা লতাঝিরি পাহাড়ের বিভিন্নস্থানে আনাগোনা করতে দেখা গেছে। সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা মারমা ভাষায় কথা বললেও তারা এই অঞ্চলের নয়। তারা রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার লোকজন হতে পারে। হঠাৎ করেই পাহাড়ে চাঁদাবাজ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।