প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

‘মানবতা বিরোধীদের প্রতিহত করি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে না বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কক্সবাজারে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেছে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য নামে একটি সংগঠন।

রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের গবেষক সাবেক সামরিক কর্মকর্তা এসএসএম শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।
শাসসুল আরেফিন বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল শক্তির ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। দেশে যাতে জঙ্গিবাদ আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। সেই জন্য মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত বাংলাদেশকে রক্ষার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের। তাই দেশব্যাপী নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

হাসান আরিফ বলেন, আগামি ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। আর ২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী হবে। তাই জনগণকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারা বিশেষ এই দুটি উৎসব উদযাপন করবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নাকি বিরোধী শক্তি।

গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যের কক্সবাজার শাখার আহ্বায়ক মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা রিদুয়ান আলী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাড. তাপস রক্ষিত, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, নাট্যব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য্য, নারী নেত্রী প্রতিভা দাশ, শিক্ষক প্রতিনিধি পরেশ কান্তি দে, সাংবাদিক প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু ও ছাত্র প্রতিনিধি মোসাব্বির হোসাইন তানিম।

মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঐক্যের আয়োজনে এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ব্যবস্থাপনা করবে কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। এটি চলবে সপ্তাহব্যাপী। কক্সবাজারে আট উপজেলায় প্রায় চার শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী গণস্বাক্ষর সংগ্রহে কাজ করবেন। প্রায় ৬ লাখের বেশি জনগণের স্বাক্ষর সংগ্রহ করার টার্গেট রয়েছে তাদের।