নুরুল কবির, বান্দরবান:

বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ভাগ্যকুলের স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোঃ জামাল উদ্দিনের ও স্থানীয় বাসিন্দার কাজলের সহযোগিতায় বান্দরবান সীমান্তবর্তী ভাগ্যকুলের চাপরুখাল থেকে অপরিকল্পিত ও অবৈধভাবে ড্রোজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার অসাধু বালু ব্যবসায়ী মো: দেলোয়ার, শোয়ের, জাহিদ। আর এ অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের কারণে চাপুরুখালের পাড় ভেঙ্গে গিয়ে এলাকার প্রায় কয়েক একর এলাকার ফসলীজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সুয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকুল এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকার চাপরুখালের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ড্রোজার মেশিনের সাহায্যে ১৫/২০জন শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বালু ব্যবসায়ী মো: দেলোয়ার, শোয়ের, জাহিদ। আর তাদের এ অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে ইতিমধ্যে এলাকার কয়েক একর ফসলী জমি চাপরুখালের সাথে মিশে গেছে। এছাড়া প্রতিদিনই ভাঙ্গছে চাপরুখালের দু’পার। বর্তমানে চাপরুখালের পাড়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় প্রায় শতাধিক ট্রাক বালু মজুদ রয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবান সুয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যকুল এলাকার সীমান্তবর্তী এলাকার চাপরুখালের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ড্রোজার মেশিনের সাহায্যে প্রায় ৫বছর ধরে বালু উত্তোলন করছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার পদুয়ার ঠাকুরদিঘীর বালু ব্যবসায়ী মো: দেলোয়ার, শোয়ের, জাহিদ। আর তাদের এ বালু উত্তোলনের কাজে সাহায্যে করছে স্থানীয় ভাগ্যকুল ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জামাল ও স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ কাজল। আর এর ফলে এলাকার প্রায় কয়েক একর ফসলী জমি নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতিদিনই খালের পাড় ভেঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে বান্দরবান-চট্টগ্রামের সীমানা। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বালু ব্যবসায়ী মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি চট্টগ্রামের ডিসি থেকে এ খাল থেকেই বালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়েছি। বান্দরবান-চট্টগ্রাম সীমানা আমি বুঝি না। ড্রোজার মেশিন ব্যবহারের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি প্রশাসন আর আমি বুঝব।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ভাগ্যকুল ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, আমি বালু ব্যবসায়ীদেরকে সাহায্যে করছি এ কথা ঠিক না। তবে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের বৈধ কাগজপত্র আছে। তাই তাদেরকে বালু উত্তোলনে কোন ধরনের বাঁধা দিতে পারছিনা।

সুয়ালক ইউপি চেয়ারম্যান উক্যানু মারমা বলেন, এ খালটি বান্দরবান চট্টগ্রামের সীমানা ঠিক রেখেছে। এ খাল থেকে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে দিনে দিনে সীমানা পরিবর্তন হচ্ছে। আমি কয়েকবার তাদেরকে এ বালু উত্তোলন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু তারা আমার এ নির্দেশ মানছেনা। আমি তাদেরকে বৈধ কাগজ নিয়ে দেখা করতে বলছি, তারা আমার এ কথার কোন তোয়াক্কা করছেনা। তবে আমি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। খুব শ্রীগ্রই আমরা যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে এ বালু উত্তোলন বন্ধ করব।