ফারুক আহমদ, উখিয়া:

রোহিঙ্গাদের দুদর্শা দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী বরিস জনসন। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন কালে তিনি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের নির্মম নির্যাতনের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য চাই রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব ও অধিকার নিয়ে সম্মানের সাথে নিজ দেশে ফিরে যাক। মিয়ানমারে রাখাইনে অবাধে চলাফেরা করার সুযোগ পাবে রোহিঙ্গারা এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আর সে লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বরিস জনসন এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দুপুর দেড়টার দিকে ঘুমধুমে স্থাপিত ট্রানজিট ক্যাম্পে যান। সেখানে তিনি নতুন আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলেন।

পরিদর্শন কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন রোহিঙ্গা ক্যাম্প বালুখালী-১ ও বালুখালী-২ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর মেডিকেল সেন্টার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা পরিচালিত নারী-শিশু বান্ধব কেন্দ্র সহ রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম, শিশুর পুষ্টি বিতরণ, নির্মাণাধীন শেডসহ সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তিনি বিশ্বে চলমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেদনাদায়ক মানবিক বিপর্যয় গুলোর মধ্যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন অন্যতম বলে মন্তব্য করেন।

তাঁর সাথে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম চৌধুরী ও ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্ল্যাক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) উখিয়া একরামুল ছিদ্দিক, ইউএনএইচসিআর, আইওএম, রেডক্রস, ডাব্লিউএফপি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, দুদিনের সফরে শুক্রবার বাংলাদেশে এসেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। সফর শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড সফর করার কথা রয়েছে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। পরে সড়ক পথে দেড়টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে যান।