ডেস্ক নিউজ:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার বিষয়টিকে রাজনীতির জন্য টার্নিং পয়েন্ট বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

দুর্নীতি নয় বিশ্বাস ভঙ্গের কারণে বেগম জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, বাবু নিতাই রায় চৌধুরী ও অ্যাডভোকট আবেদ রেজা, কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মুহাম্মদ আলী, সুলতান মাহমুদ ও জামিউল হক ফয়সাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বেগম জিয়াকে সাজা দেয়ার ঘটনাকে রাজনীতির একটি টার্নিং পয়েন্ট মন্তব্য করে সাংবাদ সম্মলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, এর প্রতিক্রিয়া হবে অত্যন্ত ব্যাপক ও ও গভীর।

সংবাদ সন্মেলনে আগামী কাল রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে সকল আইনজীবী সমিতিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দেয়া হয়।

মওদুদ আহমদ বলেন, এতদিন সরকার বলে আসছিল বিএনপি নেতারা নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এখন আমরা কী দেখলাম, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র দুই কোটি টাকার মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ সেই টাকা রাষ্ট্রের টাকা নয় এবং সেই টাকা ব্যাংকে রয়েছে। ওই টাকার সুদ বেড়ে এখন ৬ কোটি টাকা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এই দণ্ডাদেশ দেন। খালেদার ছেলে তারেককে দেয়া হয়েছে ১০ বছর কারাদণ্ড। রায়ের পর খালেদা কারাগারে গেলেও তারেক পলাতক।