এম.মনছুর আলম,চকরিয়া:

অপহরণের তিনদিন পর কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নৈশপ্রহরী মো. আনোয়ার হোসেনকে (৫৬)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে পৌরসভার ফুলতলাস্থ একটি ভাড়াটিয়া বাসা থেকে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া থানার পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণের পর পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবিদার অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা মাহাবুবুর রহমান ওরফে মুহিবুল্লাহকেও (২৪)। সে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের মগডেইল গ্রামের আবদুল গাফফারের ছেলে। তবে এ সময় পালিয়ে যায় চক্রের আরেক সদস্য হেলাল উদ্দিন ও তার মা সাকেরা বেগম (ফুলতলার ভাড়াটিয়া)। তারা পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ডুয়াখালী গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আশরাফুর রহমানের ছেলে ও স্ত্রী।

অপহৃত নৈশপ্রহরীর পুত্র সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তার বাবাকে একদল দুর্বৃত্ত চট্টগ্রাম মহানগরীর মইজ্যারটেক থেকে অপহরণ করে আগ্রাবাদ এলাকায় নিয়ে যায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় তুলে। এর পর মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুত এলাকায় এবং সেখান থেকে আবার চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলাস্থ এরশাদুল হকের ভাড়া বাসায় আটকে রাখা হয়। এর পর গতকাল মুঠোফোনে অপহরণকারীরা পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করে। টাকা নিয়ে চকরিয়ার চিরিঙ্গা মাতামুহুরী ব্রিজ এলাকায় আসতে বলে তারা। তখন বিষয়টি চকরিয়া থানার পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে তার বাবাকে উদ্ধারে।

থানার এসআই এনামুল হক জানান, অপহৃত নৈশপ্রহরী আনোয়ার হোসেনকে আহত অবস্থায় জীবিত এবং অপহরণ চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা গেলেও পালিয়ে যায় চক্রের দুই সদস্য সাকেরা বেগম ও তার ছেলে হেলাল উদ্দিন। উদ্ধারকৃত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম ঢেমশার উত্তর রামপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নজির আহমদের পুত্র এবং শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নৈশপ্রহরী।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে উদ্ধারকৃত নৈশ প্রহরীর ছেলে বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। অপহরণ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’