সিবিএন ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর পুলিশের অবস্থানবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একই স্থানে অবস্থান নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের সংর্ঘষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়াল শেল ও শটগানের গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। পরে আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মনু মিয়া (৩০) নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরও তিন জন ঢামেকে ভর্তি আছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মনু মিয়ার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনও নাশকতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাঞ্চন পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি রফিক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুলের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। একই এলাকায় রাস্তার আরেক পাশে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুইয়া এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশার টুকুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে পুলিশ রাস্তার মাঝে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরে যেতে নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে পুলিশ দুই পক্ষকে ধাওয়া করে লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল, প্রায় ৭০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ৪৯৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।