সিবিএন ডেস্ক:
সংসদ অধিবেশনে কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির নারীর সৌন্দর্য বর্ণনার ভুল ব্যাখ্যাকে শুধরে দিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় আবদুর রহমান বদি এমন প্রসঙ্গের অবতারণা করলে স্পিকার দেখার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘বিউটি লাইস ইন দ্য আইজ অব দ্য বিহোল্ডার’।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কটি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি। এসময় প্রসঙ্গটির অবতারণা করতে গিয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি নারীর ঠোঁটে লিপস্টিক ব্যবহারের উপমা টানেন। বদি বলেন, ‘একটি মেয়ের ঠোঁটে যতক্ষণ পর্যন্ত লিপস্টিক থাকবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে পরিপূর্ণ সুন্দর দেখা যাবে না।’

এ সময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী । বদির এই বক্তব্যের পর তার উদ্দেশে স্পিকার বলেন, মাননীয় সদস্য ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘‘বিউটি লাইস ইন দ্য আইজ অব দ্য বিহোল্ডার।’ অর্থাৎ যে কোনও কিছুর সৌন্দর্য যিনি দেখছেন তার দৃষ্টির ওপর নির্ভর করে। একজন নারী তিনি তার মনের দিক থেকে সুন্দর। একজন নারী একজন মা। তার মনের কোমলতা, তার ব্যক্তিত্বের কোমলতা তার সৌন্দর্য। কী ধরনের সাজসজ্জায় তিনি আছেন সেটার মধ্যে তার সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটে না, ঘটে তার ব্যক্তিত্বে, তার মায়ের কোমলতায়, তার সৌন্দর্যে।’’

এ সময় সংসদ সদস্যরা টেবিল চাপড়ে স্পিকারের বক্তব্যকে সমর্থন জানান।

এর আগে রাখা বক্তব্যে বদি দাবি করেন, তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। এছাড়া নিজে সব সময় সত্য কথা বলেন দাবি করে সরকারি দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, সত্য কথা এবং জনপ্রিয়তা তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম অপপ্রচার করে সবাইকে বিভ্রান্ত করছে। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত তাহলে তিনি আগামী নির্বাচনে মনোনয়নই চাইবেন না।

গণমাধ্যমের সমালোচনা করে আবদুর রহমান বদি বলেন, ‘মিডিয়া বলে আবদুর রহমান বদি ইয়াবার গডফাদার। দেশের সব মিডিয়াকে সমস্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, এমপি বদি যদি এই ৯ বছরের ভেতরে কোনও একজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে শুধু একটু কথা বলেছে, কারও কাছ থেকে একটা টাকা দুর্নীতি করেছে, একটা টাকা চাঁদা নিয়েছে এমন প্রমাণ থাকলে তার মোবাইলের রেকর্ডিং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠায় আমি খুশি হবো।’

বদি বলেন, কক্সবাজারের চারটি নির্বাচনি আসন। আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে জনগণের ভোটে মহান এই সংসদে এসেছি। বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসিনি। একলাখ ভোটে ডিফিট দিয়ে এই পবিত্র সংসদে এসেছি। উখিয়া টেকনাফবাসী আমাকে বিশ্বাস করে।