শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদরের বৃহত্তর ঈদগাঁওর প্রান্তিক চাষীদের জন্য জালালাবাদ-ইসলামাবাদ সংযোগে স্থাপিত ঈদগাঁও রাবার ড্যামের ক্রসড্যাম ফোলানোর ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকায় ঢুকে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ৫শতাধিক পরিবার ও দোকান পাট। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে প্রবেশ হওয়া পঁচা পানি থেকে। রোগ বালাই হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমের বোরো চাষের জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও ঈদগাঁও রাবার ড্যামের ক্রসড্যাম ফোলানো হয়েছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছর একটু পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার দুপুরে সরেজমিন বাজারের সুপারির গলি, খাদেমার চর, সওদাগর পাড়া, নদীর পাড়, ছাতি পাড়ার একাংশে পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন পরিবারে ঢুকে পড়ছে। ডুবে আছে পুকুর,জলাশয়.ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।সওদাগর পাড়া এলাকার বাসিন্দা সাকলাইন মোস্তাক জানান,বর্ষা মৌসমেও একই অসস্থা শুষ্ক মৌসমেও এ অবস্থা।তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করলেও সওদাগর পাড়ার ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পারেনি। বাজার এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফারুক আহম্মদ জানান,রাবারড্যামের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে। সুপারী বাজার সড়কের ড্রেন দিয়ে প্রবেশ করা পানি চলাচল করতে না পারায় মাছ বাজারের ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত পঁচা পানির সাথে মিশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তিনি আরো জানান, ফোলানো রাবারড্যামের ক্রসড্যাম ছেড়ে দিয়ে ২/৩ ফুট পানি কমালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। অন্তত রাবার ড্যামে স্থাপিত ছোট স্লুইচ গেইটটি খুলে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অপরদিকে রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আলম জানান, এ মুহুর্তে ক্রস ড্যাম খুললে প্রান্তিক ৫ ইউনিয়নের কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বাজার এলাকায় যে সমস্ত স্ল্ইুচ গেইট দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে সেখান থেকে সওদাগর পাড়ায় একটি স্লুইচ গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এমইউপি মোক্তার আহমদ পানি প্রবেশের বিষয়টি স্বীকার করে ৪/৫ শতাধিক পরিবারের মধ্যে ঈদগাঁও নদীর পানি প্রবেশ করেছে এবং চলাচলের রাস্তাও পানিবন্দী রয়েছে। সুপারি গলির ড্রেনেজ ব্যবস্থা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি শীঘ্রই ড্রেনগুলো পরিস্কার করতে বাজার ইজারাদারও স্থানীয়দের সাথে কথা বলবেন।