বিদেশ ডেস্ক:
জায়নবাদবিরোধী আন্তর্জাতিক আন্দোলন ‘বিডিএস’কে চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অবসানে পরিচালিত শান্তিপূর্ণ ওই আন্দোলনকে মনোনীত করার খবর জানিয়েছেন নরওয়ের একজন পার্লামেন্ট সদস্য। তাকে উদ্ধৃত করে ইউনেস্কোর অর্থায়নে পরিচালিত বার্তা সংস্থা আইপিএস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতির কারণেই মনোনয়ন পেয়েছে সংগঠনটি। জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যে ধারাবাহিক উত্তেজনা চলছে, তার মধ্যেই নরওয়ের কাছে থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানা গেলো।

বিডিএস-এর পূর্ণরূপ বয়কট, ডিভাস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশন্স অর্থাৎ বয়কট, বিনিয়োগ প্রত্যাহার এবং নিষেধাজ্ঞা (বিডিএস)। দুনিয়াজুড়ে ইসরায়েলি পণ্য বর্জন, দেশটি থেকে পুঁজি প্রত্যাহার এবং ইসরায়েলি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত এ আন্দোলন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বহু খ্যাতিমান শিল্পী-বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা ব্যক্তিত্ব এই আন্দোলনে জড়িত।
জুরিনার মোক্সনেস নামের ওই আইনপ্রণেতা রবিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ন্যায়বিচার ও মর্যাদা অর্জন এবং দখলদার ইসরায়েলের কবল থেকে স্বাধীনতা লাভের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণ যে সংগ্রাম করছে তার প্রতি সংহতি প্রদর্শন করে ইহুদিবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক আন্দোলন ‘বিডিএস’কে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের সব মানুষকে শান্তিপূর্ণ জীবন উপহার দেয়ার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সমাজ যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সে বিষয়টি শক্তিশালীভাবে ফুটিয়ে তোলার লক্ষ্যে ‘বিডিএস’কে ২০১৮ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ার জন্য মনোনিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী অহিংস আন্দোলন থেকে উদ্বুব্ধ হয়ে ১১ বছর আগে বিডিএস প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি এরইমধ্যে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন, সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও গির্জাসহ আরো নানা মানবাধিকার আন্দোলনের সমর্থন লাভ করেছে। এই আন্দোলন অধিকৃত ফিলিস্তিনে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণ এবং বর্ণবাদী ইসরাইল সরকারের প্রতি পাশ্চাত্যের অন্ধ সমর্থনের ঘোর বিরোধিতা করছে। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিন বিষয়ক সব আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়নে ইসরাইলকে বাধ্য করতে চাপ প্রয়োগের দাবি জানাচ্ছে।