মাননীয়,
প্রধানমন্ত্রী, গরিব দরদী, মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা,
আমার সালাম নিবেন।
আমি আপনার মন্ত্রীপরিষদ সচিব জনাব শফিউল আলম এর নিজ জেলা কক্সবাজার এর উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মধ্যম পাইন্যাশিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক জনাব আবু নাঈম মাসুম কর্তৃক আমাকে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের বিচার আপনাকে দিলাম।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসুরী, মানবতার নেত্রী, গরীব দরদী, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্টিকে বর্তমান উন্নয়ন এর ধারায় সংযুক্ত করে দারিদ্রতা বিমোচনে যুগান্তকারী, দুরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তের কারণে সরকার মহিলারদের বিদেশে চাকুরীর ব্যবস্থা করেছেন।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত…….
গত ০৮/০৮/১৭ইংরেজী তারিখে আমার মেয়ে আনোয়ারা বেগম এর নামে একটি এম, আর,পি পাসপোট এর জন্য আবেদন করি। আবেদনের প্রেক্ষিতে কক্সবাজার পুলিশের বিশেষ শাখার অফিসার ইন্সপেক্টর জনাব মিজানুর রহমান তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন প্রদান করেন। যাহার নং পি, ভি আর- ১১১৫, তারিখ- ২১/০৯/২০১৭ইং। মৌখিকভাবে জানতে পেরেছি তদন্ত অফিসার মহোদয় আমার মেয়েকে পাসপোর্ট প্রদানের পক্ষে মতামত প্রদান করেন। আজ প্রায় ০৪(চার) মাস অতিবাহিত হলেও পাসপোর্ট অফিসার আমার মেয়ের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করেন নি।
উক্ত বিষয়ে গত ০৮/১১/১৭ইংরেজী। পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পাসপোর্ট অফিসার আবু নাঈম মাসুমের বরাবরে একখানা দরখান্ত প্রেরণ করি। উক্ত দরখান্তের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোন দপ্তর থেকে জবাবও পাইনি। কেন আমার মেয়ের নামে পাসপোর্ট ইস্যূ হবে না?বিষয়টি নিয়ে পাসপোর্ট অফিসারের কাছে প্রায় ২০ বারের অধিক ধর্না দিয়েছি। অনেক বার হাতে পায়ে ধরেছি, নাজেহালে হয়েছি। তিনি সাফ জানিয়ে দেন- আমার মেয়ের নামে পাসপোর্ট ইস্যু করবেন না।
অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, আমি অতীব গরীব কৃষক, আমার ৬ কন্যা, তার মধ্যে ২ জন প্রতিবন্ধী বোবা, কন্যা দায়গ্রস্থ পিতা, হয়ত আত্নহ্ত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া আমার কোন উপায় থাকবে না। আমাকে আপনার অফিসার কর্তৃক চাকুরী নিয়ে বিদেশ যেতে না দেওয়া, অন্যায়ভাবে পাসপোর্ট ইস্যু না করা, আমাকে শারীরীক, মানসিকভাবে নাজেহালের বিচার প্রার্থনা করছি।

বিনীত নিবেদক
গরীব কৃষক, কন্যা দায়গ্রস্থ পিতা-
সোলতান আহমদ
মধ্যম পাইন্যাশিয়া, জালিয়াপালং,
উখিয়া, কক্সবাজার।