মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
রামু উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এক মাত্র উচ্চ মাধ্যমিক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের  গর্জনিয়া ফইজুল উলুম ফাজিল (ডিগ্রী)  মাদ্রাসা। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৬ বছর পর ২০১৭ইং সালে নতুন ভাবে কেদ্র স্থাপনের মাধ্যমে দ্বিতীয় বারের মত দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দিন থেকে কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণ ভাবে চলছে দাখিল পরিক্ষা। ৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার)তৃতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। কোন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত নাই বলে জানালেন কেন্দ্র সচিব অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা মোঃ আয়ুইব।

তিনি আরো জানান ফইজুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এবারে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় ১৬৯ ও অনিয়মিত ১৬ জনসহ সর্বমোট ১৮৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে কচ্ছপিয়ার ফইজুল উলুম মাদ্রাসার ৯৫ আল-গিফারী (রঃ) দাখিল মাদ্রাসার ৪৩ ও গর্জনিয়া ইউনিয়নের ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার ৪৭ জন ছাত্র- ছাত্রী রয়েছে।

কেন্দ্র সুপার সহকারী অধ্যক্ষ মওলানা আবু তাহের জানান কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রথম দিন কোরআন, দ্বিতীয় দিন আরবী প্রথম পত্র ও তৃতীয় দিনে আরবী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বাকী পরীক্ষাগুলো একই ভাবে শান্তি শৃঙ্খলার মাধ্যমে  হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আবদুলাহ আল-মামুন জানান, মনোরম পরিবেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা চলছে। বাকী পরীক্ষাগুলো ঠিক অনুরূপভাবে চালিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি দায়ীত্ব পালন কারী সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময় নিরাপত্তা দায়িত্বে করছেন গর্জনিয়া ফাঁড়ী পুলিশ। মেডিকেল টিমের দায়িত্বে ছিলেন গর্জনিয়া উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহাসান উদ্দিন (রুবেল) হেলথ ইন্সপেক্টর বিপ্লব বডূয়া।

সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে কর্তব্যরত কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মওলানা মোঃ আয়ুইব  বলেন, দ্বিতীয়বারের মত ফইজুল উলুম মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর আগে রামু দূর্গম কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রামু উপজেলা সদরে যেত হত, তাই উৎকন্ঠায় থাকতে হত এসব এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।

এছাড়াও দূর্গম এলাকার এক জন শিক্ষার্থীর জন্য ৫-৭ হাজার টাকা খরচ হত।  এ হিসাবে এসব এলাকার অভিভাবকদের কয়েক লক্ষ টাকা খরচ থেকে মুক্ত হয় এখানে পরীক্ষা কেন্দ্র হওয়ায়। তাই তিনি সকলের সহযোগিতার পাশাপাশি কেন্দ্রে যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সকলের চোখ-কান খোলা রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল জানান, এই মাদ্রসার সভাপতি কক্সবাজার সদর- রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় গর্জনিয়া-কচ্ছপিসহ আশপাশের মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা কম খরচে পরীক্ষা দিতে পারছেন। এই জন্য কচ্ছপিয়াবাসী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আগামীতেও এমপি মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।