সাইফুল ইসলাম :

সারাদেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এসএসসিতে প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র ও দাখিলে কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনে পরীক্ষায় এসএসসিতে অনুপস্থিত ছিল ৬৫ জন ও দাখিলে ৩৯ জন এবং কারিগরিতে ১০ জনসহ মোট ১১৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। জেলা প্রশাসকের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ৪৪টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহনের কথা ছিলো, তৎমধ্যে ২৪ হাজার ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে। এর মধ্যে এসএসসিতে ২৫ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৭ হাজার ৯৯ জন, এর মধ্যে অংশগ্রহন করে ১৭ হাজার ৩৪ জন, অনুপস্থিত ছিলো ৬৫ জন। দাখিলে ১৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিলো ৬ হাজার ১৩০ জন, এর মধ্যে অংশগ্রহন করে ৬ হাজার ৯১ জন , অনুপস্থিত ছিলো ৩৯ জন। কারিগরিতে ৬ কেন্দ্রে ৭শ’ ৭৬ জন পরীক্ষার্থী ছিলো এর মধ্যে অংশগ্রহন করেন ৭শ’৬৬ জন, অনুপস্থিত রয়েছে ১০ জন পরীক্ষার্থী। পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃংখলা বাহিনী ছিলো। কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, জেলার সকল পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠ পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোন প্রকার নিরাপত্তা বিঘিœত না হয় সে জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনী সর্বদা সজাগ রয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র সংলগ্ন ১৪৪ ধারা জারীর আওতায় থাকবে। তবে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দ পরীক্ষা কেন্দ্রে মনিটরিং এর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আরো বলেন, এ পরীক্ষার চলাকালীন সময়ে কেউ অসদুপায় অবলম্বন করে সে যেই হোক না কেন তাকে কোন রুপ ছাড় দেয়া হবে না। বাকী পরীক্ষা নির্বিঘœ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন জেলা প্রশাসক। পরীক্ষার প্রথম দিন সকালের দিকে শহরের কে.জি এন্ড মডেল হাই স্কুল, ইসলামিয়া আদর্শ কামিল মাদরাসা ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আসরাফ হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা।