মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে সলিমুল্লাহ সর্বভারতীয় পর্যায়ে যতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন তা তাঁর উত্তর ও পূর্বপুরুষদের কেউই পারেননি। তিনি নিজ জনগোষ্ঠী ও পূর্ববঙ্গ, অর্থাৎ বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল ছিলেন। যে রাজনীতির সূচনা তিনি করেছিলেন তা শিক্ষা বিস্তার আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছিল। তিনি একটি জনগোষ্ঠীকে অনগ্রসর বিবেচনা করে সেটির স্বার্থের কথা বলেছিলেন। তবে কোনো সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর অধিকারে আঘাত দেওয়ার পক্ষে তাঁর সমর্থন থাকার কথা জানা যায়নি ।

সলিমুল্লাহর জন্ম ঢাকা শহরে। জীবন কেটেছে এই শহরেই। এই শহর ও পূর্ববঙ্গের অগ্রগতির চিন্তা যে তাঁকে তাড়িত করেছে, সে বিষয়ে প্রমাণের অভাব নেই। তাঁর বাবা ছিলেন নওয়াব স্যার খাজা আহসানউল্লা (১৮৪৬-১৯০১) এবং দাদা ছিলেন নওয়াব স্যার খাজা আবদুল গণি (১৮১৩-৯৬)। এই দুজনই ঊনবিংশ শতকের বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। নিঃসন্দেহে পরিবারটি ছিল অভিজাত ও ধনাঢ্য। জমিদার পরিবার হিসেবে পূর্ববঙ্গে এই পরিবারের নাম ছিল অগ্রগণ্য। সলিমুল্লাহর আগ পর্যন্ত এ পরিবারের কেউ প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসেননি

নওয়াব সলিমুল্লাহ সম্পর্কে ১৯০৩ সালের ১৯ এপ্রিল ‘ঢাকা প্রকাশ’-এর তৃতীয় পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, ‘মাননীয় নবাব বাহাদুর পূর্ববঙ্গের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।’ অম্বিকাচরণ সেন নামের এক ব্যক্তি কর্তৃক নওয়াবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বিষয়ক সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘তাঁহাকে আসামী শ্রেণীভুক্ত দেখিয়া আমরা নিরতিশয় দুঃখিত হইয়াছি। ভগবত্কৃপায় কলঙ্ককালিমা নবাব বাহাদুরকে স্পর্শ করিতে না পারিলেই আমরা সুখী হইব।’

এতে ধারণা করা যায়, সাধারণ্যে সলিমুল্লাহর একটি ভালো ভাবমূর্তি ছিল। সংবাদপত্র হিসেবে পরবর্তী সময়ে ‘ঢাকা প্রকাশ’ সলিমুল্লাহর চিন্তা ও মতের বিরোধিতা করে চলেছিল। সলিমুল্লাহ ছিলেন বঙ্গভঙ্গের অন্যতম প্রধান নেপথ্য ব্যক্তি। অথচ বঙ্গভঙ্গের প্রবল বিরোধিতার অনেক প্রমাণই সংগ্রহ করা যায় পত্রিকাটির পাতা থেকে। এসব কারণে সলিমুল্লাহ সম্পর্কে পত্রিকাটির মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ। বিভাগপূর্ব ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে নওয়াব সলিমুল্লাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাঁর জন্ম হয়েছিল ঊনবিংশ শতকের ১৮৭১ সালের ৭ জুন। তাঁর পূর্বপূরুষ মোগল আমলে অষ্টাদশ শতকের তৃতীয় দশকে বাংলায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করেছিল। এর আগে তারা কাশ্মীরে ব্যবসা করত।

সলিমুল্লাহর জন্ম ঢাকা শহরে। জীবন কেটেছে এই শহরেই। এই শহর ও পূর্ববঙ্গের অগ্রগতির চিন্তা যে তাঁকে তাড়িত করেছে সে বিষয়ে প্রমাণের অভাব নেই। তাঁর বাবা ছিলেন নওয়াব স্যার খাজা আহসানউল্লা (১৮৪৬-১৯০১) এবং দাদা ছিলেন নওয়াব স্যার খাজা আবদুল গণি (১৮১৩-৯৬)। এই দুজনই ঊনবিংশ শতকের বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। জমিদার পরিবার হিসেবে পূর্ববঙ্গে এই পরিবারের নাম ছিল অগ্রগণ্য। সলিমুল্লাহর আগ পর্যন্ত এই পরিবারের কেউ প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আসেননি। পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক ঘটনাবলির সঙ্গে তাঁদের সংশ্লিষ্টতা ছিল। ঊনবিংশ শতকের বাংলার শাসক সম্প্রদায় অর্থাৎ ইংরেজদের সঙ্গে আবদুল গণি ও আহসানউল্লার সুসম্পর্ক ছিল। আবদুল গণির পূর্ণপ্রতাপ থাকাকালে ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল এবং ঢাকার লালবাগের কেল্লায় দেশীয় সিপাহিদের ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির ইংরেজ সেনারা নির্মমভাবে দমন করেছিল। সেই ঘটনার সময় তখনকার উপমহাদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব স্যার সৈয়দ আহমদ ও নবাব আবদুল লতিফ এবং ঢাকার নিকটবর্তী ভাওয়ালের জমিদার কালীনারায়ণ রায়চৌধুরীর মতো আবদুল গণিও কম্পানি সরকারের সমর্থক ছিলেন। ভারতের গভর্নর জেনারেল ডাফরিন ১৮৮৭ সালে ঢাকায় এলে সভাস্থলে আবদুল গণির আসন ছিল তাঁর পাশেই। এসব সত্ত্বেও জনকল্যাণে ও জনহিতকর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এই পরিবারের যে অনেক অবদান ছিল তা ঐতিহাসিক বাস্তবতা। তৎকালীন মুসলিম সমাজের ইংরেজি শিক্ষায় অনাগ্রহের বিপরীতে এই পরিবার ইংরেজি ভাষা ও আধুনিক শিক্ষার প্রতি উৎসাহী ছিল। আবদুল গণি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম সরকারি ইংরেজি স্কুল ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ঢাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং রাস্তায় গ্যাসবাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা তিনিই প্রথম করেছিলেন। সলিমুল্লাহর বাবা আহসানউল্লা ১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর সাড়ে তিন লাখ টাকা খরচ করে ঢাকায় তথা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রথম বিজলি বাতির আলো জ্বলেছিল আহসান মঞ্জিলে। এই বাড়িতেই জন্ম হয়েছিল সলিমুল্লাহর। ব্রিটিশ সরকার ১৮৭৫ সালে আবদুল গণিকে নওয়াব উপাধি দেয়, যা ১৮৭৭ সালে বংশানুক্রমে ব্যবহারেরও অনুমতি দেওয়া হয়। মোগল আমলের নবাব এবং ঢাকার নওয়াবদের মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। আর এ সবই ছিল সলিমুল্লাহর পারিবারিক পটভূমি।

তিনি নওয়াব আহসানউল্লার প্রথম স্ত্রী ওয়াহিদুননেসার গর্ভজাত সন্তান ছিলেন। ইংরেজি, জার্মান, আরবি, ফারসি, উর্দু ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁর প্রধান শিক্ষাগ্রহণ পর্বটি ছিল গৃহশিক্ষকের কাছে। পারিবারিকভাবে ধন-সম্পদের অধিকারী ছিলেন, তবে পূর্বপুরুষের আমলের আর্থিক স্থিতিশীলতা তাঁর সময়ে এসে ব্যাহত হয়েছিল। বাবার জীবদ্দশায়ই ১৮৯৩ সালে তিনি জুনিয়র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের চাকরি নেন এবং বাংলাদেশের ময়মনসিংহ ও বিহারের মুজফফরপুরে কর্মরত ছিলেন। তবে ১৮৯৫ সালে সেই চাকরি ছেড়ে দেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করার চেষ্টাও করেছিলেন। তবে তাঁর প্রধান ঝোঁক ছিল সমাজসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে। এসব কাজ পরে তাঁকে নিয়ে গেছে রাজনীতির মতো আরো ভিন্ন ধরনের কাজের কাছে।

সলিমুল্লাহ ঢাকার পঞ্চায়েতব্যবস্থার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি ফটোগ্রাফিরও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। সলিমুল্লাহ খেলাধুলার পৃষ্ঠপোষকতা যেমন করতেন, তেমনি করতেন গান-বাজনা, বায়োস্কোপ প্রদর্শনী, নাট্যাভিনয় প্রভৃতির পৃষ্ঠপোষকতাও। ঈদ, ফাতেহা-ই-দোয়াজদাহম প্রভৃতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।

তাঁকে বঙ্গভঙ্গের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনার নেপথ্য প্রধান ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। তবে সব ঘটনার শিকড় খুঁজতে গেলে তাঁর গভীর চিন্তাপ্রসূত একটি উপলব্ধির কথা চিহ্নিত করা যায়। সেই উপলব্ধিই যে তাঁকে রাজনৈতিক ঘটনার পেছনে এনে দাঁড় করিয়েছিল তা-ও বুঝতে পারি আমরা। সেই উপলব্ধি ছিল পূর্ববঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের অপরিহার্যতা। তিনি বলতেন, যেকোনো রাজনীতির চেয়ে তাঁর জনগোষ্ঠীর জন্য অনেক জরুরি প্রয়োজন শিক্ষার বিস্তার। নওয়াব হিসেবে দায়িত্ব পালনের শুরুতেই ঢাকার সব মহল্লায় তিনি স্থাপন করেছিলেন নৈশ বিদ্যালয়। ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯০২ সালে তিনি এক লাখ ২০ হাজার টাকা দান করেছিলেন। সেই টাকায় এবং তাঁর দান করা জমিতে স্থাপিত হয়েছিল আহসানউল্লা স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৯২২ সালে যা আহসানউল্লা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ১৯৬০ সালে আহসানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে উন্নীত হয়। সেটিই এখনকার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সব জমিই শুধু দান করেননি, প্রধান অর্থদানকারীও ছিলেন। তিনি দান করেছিলেন অকাতরে এবং এতে তাঁর অর্থভাণ্ডারে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। শেষে সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মহাজনদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছিল। জমিদারি চলে গিয়েছিল কোর্ট অব ওয়ার্ডসে।

লর্ড কার্জনের সঙ্গে সলিমুল্লাহর ১৯০৪ সালে ঢাকার আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ বৈঠককে পরবর্তী বছরের বঙ্গভঙ্গের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। সলিমুল্লাহ এর আগেও পূর্ববঙ্গ ও ঢাকার স্বার্থের ব্যাপারে বহুবার বলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠনের বিষয়ে ইংরেজরা মত দেয়।

১৯০৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই বঙ্গভঙ্গের বিষয়টা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয় এবং বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতাকারীরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলা শুধু নয়, গোটা ভারতবর্ষেই রাজনীতির ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার চর্চা ব্যাপকতর হয়। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয়। ঢাকাকে রাজধানী করে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠিত হয় এবং সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে পূর্ববঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায় ব্রিটিশ সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। নতুন প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল বর্তমান বাংলাদেশ, অবিভক্ত দিনাজপুর, মালদহ ও জলপাইগুড়ি জেলা, আসাম, মণিপুর ও ত্রিপুরা।

নিঃসন্দেহে সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে বঙ্গভঙ্গকে অটুট রাখার যে আন্দোলন হয়েছিল তার প্রভাব সর্বভারতীয় রাজনীতিতে সুদূরপ্রসারী হয়েছিল। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতবর্ষের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। বঙ্গভঙ্গ রহিতকরণের ঘটনায় সলিমুল্লাহ খুবই দুঃখ পেয়েছিলেন। কিন্তু শাসকদের সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে আবেদন-অনুরোধের পথেই থাকেন তিনি। তিনি অবিভক্ত বাংলার ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য, ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সদস্য এবং পূর্ববঙ্গ ও আসামের ব্যবস্থাপক সভার সদস্য ছিলেন। বঙ্গভঙ্গের পর ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ বরাবর পূর্ববঙ্গ ও ঢাকার অমর্যাদার কথা তুলে ধরে হতাশা ব্যক্ত করেন। নওয়াব আলী চৌধুরী, এ কে ফজলুল হকসহ পূর্ববঙ্গের মুসলিম নেতাদের নিয়ে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জোর দাবি তোলেন তিনি। সরকার এই দাবি ১৯১২ সালে মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে এর বিরুদ্ধেও যে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল, সে কথা সুবিদিত। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও তিনি নিজে এর প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারেননি। ১৯১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছিল কলকাতায় ৯৩ চৌরঙ্গী রোডের বাড়িতে। সেদিনই কলকাতায় অনুষ্ঠিত তাঁর জানাজায় বিপুল জনসমাগম হয়েছিল। পরদিন লাশ ঢাকায় আনা হয় এবং কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকার বেগমবাজারে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

মাত্র ৪৪ বছরের জীবনে সলিমুল্লাহ সর্বভারতীয় পর্যায়ে যতটুকু প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন তা তাঁর উত্তর ও পূর্বপুরুষদের কেউই পারেননি। তিনি নিজ জনগোষ্ঠী ও পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রতি বিশেষ সহানুভূতিশীল ছিলেন। যে রাজনীতির সূচনা তিনি করেছিলেন, তা শিক্ষা বিস্তার আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছিল। তিনি একটি জনগোষ্ঠীকে অনগ্রসর বিবেচনা করে সেটির স্বার্থের কথা বলেছিলেন। তবে কোনো সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীর অধিকারে আঘাত দেওয়ার পক্ষে তাঁর সমর্থন থাকার কথা জানা যায়নি। কিন্তু পরবর্তীকালে উপমহাদেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক পরিচিতিকে মনুষ্যত্বের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে হানাহানি-রক্তপাতের ব্যাপক বিস্তার ঘটানো হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে।

  • কালেরকন্ঠ থেকে সংগৃহিত