সাইফুল ইসলাম , কক্সবাজার :

জেলার একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভবনটি মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ভবনটি ধ্বসে পড়ার আশংকা করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন জানা যায়, ২০১২ সালের আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ী ঢলের কারণে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভবনটির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এরপর ২০১৫ সালের জুলাই মাসের দিকে এসে ঝুকিপূর্ণ একটি অংশ ধসে পড়ার আশংকা থাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলে জেলা প্রশাসন। কিন্তু জেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ভবনটির বাকি অংশ যে কোন মূহুর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন মৎস্য শ্রমিকরা।

বেশ কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, পুর্বেই ভবনটির উত্তর দিকের একাংশ নদীর দিকে হেলে পড়ে ঝুঁকি অবস্থায় রয়েছিল। পরে সে অংশটি সংস্কার হয়েছে। কিন্তু পুরো ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা এখনো পর্যন্ত সংস্কারের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তবে যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে দূর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

কক্সবাজার মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ঝুকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে ঐ স্থানে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক পূর্ব থেকেই মন্ত্রনালয়ে বেশ কয়েকবার চিঠি প্রেরণ করেছেন। এখনো ওই দিক থেকে সদত্তোর মিলেনি। কিন্তু ২০১৬ সালের শুরুর দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সিসি ব্লক ডাম্পিং ও প্লেসিং এর কাজ শুরু করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষও করে। কিন্তু এরপর পরই ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা ছিল মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। তবে দীর্ঘ দুই বছর পার হলেও শুধু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে দায় এড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাঁকখালী নদীর কিনারে গড়ে উঠা ‘৬ নং ফিশারীঘাট’ নামে খ্যাত জেলার একমাত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। বর্তমানে মারতœক ঝুকির মুখে। দু’তলা বিশিষ্ট ভবনটির নিচের মাটি, পিলার ও সিঁড়ি ভেঙ্গে গেছে। পুরো ভবন জুড়ে শুধুই ফাটল। খসে পড়ছে ফাটলের কিছু কিছু অংশ। এ নিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হওয়ার পাশাপাশি আশংকাবোধও করছে। দেয়ালে একের পর এক ফাটল, ভবনের পিলারগুলোর নীচের মাটি সরে যাওয়া, সিঁড়ীর ভাঙ্গন সব মিলিয়ে চরম ঝুকিতে পড়েছে। ওই কেন্দ্রে কক্সবাজার সদর, খুররুশকুর, টেকনাফ, মহেশখালী, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়াসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার মৎস্য সংশ্লিষ্টসহ বহিরাগত মানুষের আনাগোনা থাকে।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম জানান, পূর্বেই ভবনটির উত্তরাংশ বাঁকখালী নদীর দিকে হেলে পড়েছিলো। পরে সে অংশটি সংস্কার হয়। সেই থেকে পুরো ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভবন ভেঙে ফেলার জন্য বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে লিখিত আবেদন করেছি। এখনো সদত্তোর পাওয়া যাচ্ছেনা।