নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুরে ১০ বসতবাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র লোকজন। একই সাথে ওইসব বসতভিটার অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলেছ। শুধু তাই নয়, ওইসব বসতবাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকাও লুট করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ইউনিয়নের বারিয়াপাড়ায় এই দুর্ধর্ষ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে।

অভিযোগ মতে, একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে পুঁজি করে শাপলাপুর সাতঘর পাড়ার মৃত জাবেদ আলীর পুত্র ছিদ্দিক আহামদ ও আলী আহামদ মাস্টারের পুত্র শওকত আলমের নেতৃত্বে মুকবেকী এলাকার মৃত নাজির আহামদের পুত্র রশিদ আহামদ, মো. আলমের পুত্র নেজাম উদ্দীন, মুকবেকী এলাকা আবু জাফরের পুত্র আবদুল করিম, দিনেশপুর এলাকার মৃত আলী হোছনের পুত্র নূরুল আমিন ও ষাইটমারা এলাকার মো. হোসেনের পুত্র রুহুল আমিনসহ ১২/-১৫ জনের একদল বন্দুকসহ অস্ত্রধারী লোক অতর্কিত বারিয়াপাড়ায় হামলে পড়ে। অস্ত্রধারীরা বারিয়াপাড়ায় ঢুকে প্রথমে ওই এলাকার ফজর আলম, তার দু’পুত্রের এবং একই এলাকার আকতার কামালের পুত্র নূর আহামদ, শফির আলম, নজির আহামদ, আলি আহামদ, লস্কর আলীর পুত্র আবদুল মান্নান, ওমর আলীর পুত্র আমির হামজা, মো. ইউসুফ ও বশির আহামদের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

হামলাকারীরা ওইসব বসতবাড়ির দরজার, জানালা, আলমিরা, খাট, বেড়াসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর ও কেটে ফেলেছে। এসময় অস্ত্রের ভয়ে ওইসব পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয় লোকজন এলাকায় ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় হামলাকারীরা বেপরোয়া হয়ে ফিল্মি স্টাইলে একে একে সব বসতবাড়িতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। বসতবাড়ি ভাংচুর করেও ক্ষান্ত হয়নি হামলাকারীরা। তারা অত্যন্ত নারকীয় কায়দায় ওইসব বসত বাড়ির ভিটার সুপারি ও লিচুগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে। সব মিলে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।

সূত্র মতে, ফজর আলম ও তার দু’পত্রের বাড়ির আলমিরায় ভেঙে তিন ভরি ও তার ভাই আবদুর রহিমের বাড়ির আলমিরা ভেঙে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও আরেক ছেলে কাছে সংরক্ষিত প্রাণ কোম্পানির ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ফজর আলম বলেন, সম্প্রতি এলাকার দু’তিন লোকের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. ওসমান ও সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তারা দু’জন হামলা শিকার হন। কিন্তু ওই ঘটনার সাথে আমার বা আমার পরিবারের কোনো ধরণের সম্পৃক্ত ছিলো না। তারপরও মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকেও দায়ী করা হয়। এই ঘটনার জের ধরেই আবার আমার ও পুত্রদের বাড়িতে জঘন্য হামলা চালিয়েছে অস্ত্রধারীরা। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।