শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীনস্থ মাছুয়াখালী বিটের ভিলেজারের নেতৃত্বে সামাজিক বনায়নের গাছ কাটার মহোৎসব চলছে। বনবিভাগ দেখেও না দেখার ভান করে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার এহেন কর্মকান্ডে বনজ সম্পদ ধ্বংস হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। প্রতিনিয়ত বেপরোয়া হারে গাছ পাচারের ফলে গ্রামীন সড়ক গুলো বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মাছুয়াখালী বিটের সাবেক ভিলেজার মোহাম্মদ হাছান প্রকাশ হাছাইন্যা বা’র পুত্র নেচারুল হক বাপের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভিলেজার পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে গাছ পাচার, পাহাড় কাটা, উচ্ছেদের নামে বাড়ীর মালিক থেকে টাকা আদায়সহ অহরহ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, পাহাড়ী এলাকায় অবস্থানরত অপহরণকারী দলের সাথেও তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। এর ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খোলার সাহস পায় না। কেউ প্রতিবাদ করলে বন মামলার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ। স্থানীয়রা জানান, ঈদগাঁও কালিরছড়ার ভুতিয়াপাড়ার গিরিঙ্গি পাহাড় এলাকার ১৩-১৪ সালের সামাজিক বনায়ন থেকে আকাশমনি, মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে পাশর্^বর্তী রশিদ নগরের তোফাইল আহমদের মালিকানাধীন ড্যাম্পার যোগে পাচার করে আসছিল।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জানুয়ারী সকালে ৪/৫ ড্যাম্পার গাছ কেটে তার বাড়িতে মজুদ করে রাখে। খবর পেয়ে মাছুয়াখালী বিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে অপরাপর স্টাফরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সাথে দূর্ব্যবহার ও বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে সদ্য অস্ত্রসহ আটককৃত পাশর্^বর্তী ইউনিয়ন রশিদ নগরের নবী আলমের সাথে ভিলেজার নেচারু গভীর সমপর্ক ছিল। সে সুবাদে নির্বিচারে বিভিন্ন জনের প্লট থেকে গাছ কেটে বিক্রি করলেও মুখ খোলার সাহস ছিল না কারো। উত্তরাধিকার সূত্রে ভিলেজার হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলেও জানান স্থানীয়রা। অভিযুক্ত নেচারুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদকের পরিচয় জেনে নিজেকেও একসময়কার সাংবাদিক ছিল বলে দাবী করেন অভিযোগগুলো এড়িয়ে গিয়ে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন।

মাছুয়াখালী বিট কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানার অনুরোধ করেন এবং সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন মিয়া বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।