প্রথমআলো :
ফেসবুক পোস্টে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দেশের একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে তদন্তের জন্য ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী সুশান্ত কুমার বসু আজ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় দৈনিক মানবকণ্ঠের সাবেক সম্পাদক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
ওই আদালতের সরকারির কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
মামলায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে মা সরস্বতী বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবে পূজিত হন। অনাদিকাল থেকে হিন্দুদের ঘরে ও উপাসনালয়ে প্রতিবছর ত্রিপঞ্চমীর শুভ তিথিতে শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে এ দেবী পূজিত হয়ে আসছেন। সাংবাদিক আনিস আলমগীর এ ব্যাপারে সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রদায়িক দোষে দুষ্ট হয়ে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক উসকানি, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেন। ২২ জানুয়ারি সরস্বতীপূজার দিন সরস্বতী দেবীকে নিয়ে তিনি ওই পোস্ট দেন। এতে তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছেন। ওই পোস্টের মাধ্যমে তিনি স্বরূপে আবির্ভূত হয়ে প্রকারান্তরে বকধার্মিক ও ছদ্মবেশী প্রগতিশীল চেহারা জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন।
এ মামলার সাক্ষী আইনজীবী তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, আনিস আলমগীরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।