ডেস্ক নিউজ:

শরীয়তপুরে প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে গিয়ে ধরা পড়া সেই যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার বিকেলে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে প্রেমিকা রুনা আক্তারের (১৭) বাবা মোসলেম ঢালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান প্রেমিক মামুন মাদবরকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠান। ওই প্রেমিক যুগল সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি গ্রামের মোসলেম ঢালীর মেয়ে রুনা আক্তারের (১৭) সঙ্গে তার বেয়াই একই ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামের আব্দুল জলিল মাদবরের ছেলে মামুন মাদবরের (২৪) তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে।

এরই মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামুন-রুনার সঙ্গে মনমালিন্য হয়। মামুনের সঙ্গে রাগ করে মোবাইলে কথা বলা, দেখা করা বন্ধ করে দেয় রুনা। এতে রুনার প্রতি ক্ষিপ্ত হয় মামুন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রুনা আক্তার কলেজে যাওয়ার জন্য বাড়ির ঘাটার সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিল। তখন মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে রুনার সামনে এসে দাঁড়ায়।

এ সময় প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে মামুন রুনাকে মোটরসাইকেলে তুলে কলেজে দিয়ে আসার অনুরোধ করে। কয়েকবার বলার পর রুনা রাজি না হলে তার গালে আট থেকে দশটা চড় মারে মামুন।

পরে রুনা চিৎকার করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইয়াসিন হাওলাদার, মেম্বার হারুন মোল্লা, সায়েদ মোল্লা, রস্তম ঢালী, প্রাণ কৃষ্ণ দাস, মোতালেব ঢালী, মান্নান ঢালী রুনাকে উদ্ধার করেন এবং মামুন মাদবরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মামুনকে থানায় নিয়ে যায়। অভিযোগের ভিত্তিতে মামুনকে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠানো হয়।