সংবাদদাতা:
মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসার গ্র্যান্ড ইমাম ও খতীব শাইখ ড. ইক্বরমা সাঈদ আব্দুল্লাহ সবরী কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন আজ।
একই দিন ঈদগাহ মাঠে মাগরিবের নামাজে ইমামতি করবেন তিনি।
ড. ইক্বরমা সাঈদ সবচেয়ে প্রবীণ ও ফিলিস্তিনের প্রভাবশালী ধর্মীয়। তিনি ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সাঈদ সাবরিও ছিলেন আল আকসা মসজিদের কাজি (বিচারক) ও সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সদস্য।
ড. ইক্বরমা বাগদাদে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৩ সালে বাগদাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দেশে ফিরে এসে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপালন করেন।
পিএলও-এর প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসির আরাফাত ১৯৯৪ সালে তাকে ফিলিস্তিনের প্রধান মুফতি ও বায়তুল মাকদিসের প্রধান ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এ পদে বহাল ছিলেন।
ড. ইক্বরমা ফিলিস্তিনে আরব মুসলিমদের অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত স্পষ্টভাষী। ২০০০ সালে ইউরোপীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপে ৬০ লাখ ইহুদি নিধনের কথা অস্বীকার করেন এবং এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইহুদিরা যদি শান্তি চায় তারা যেনো ফিলিস্তিন ভূমি ছেড়ে চলে যায়। কারণ আল্লাহ তাদের এ নির্দেশ দিয়েছেন।
২০০৫ সালে তিনি ইহুদি সংশ্লিষ্টতার দরুন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির তীব্র সমালোচনা করেন। এতে আমেরিকা ও তার মিত্ররা প্রচ- রকম রুষ্ট হয় এবং ফিলিস্তিন সরকারের উপর তাকে সরিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করে।
ইসরাইল ও আমেরিকার চাপে ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাকে তার পদ থেকে অব্যহতি দেন। তার স্থলে শায়খ মুহাম্মদ আহমদ হুসাইনকে নিয়োগ প্রদান করেন।
ড. ইক্বরমা বর্তমানে ফিলিস্তিনের সর্বোচ্চ ইসলামিক পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
১৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে আল জাজিরায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ড. ইক্বরমা সাঈদ আস সাবরিকে আকসা মসজিদের খতিব হিসেবে পুনর্বহাল করা হয়।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করার পর এক জুমায় খুতবা প্রদানের সময় শায়খ ইকরিমা ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণে আহতও হন।