প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

স্বপ্ন দেখতে হলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই গণিত শিখতে হবে। গণিত ছাড়া জীবন অচল। জীবনের জন্যই দরকার গণিত।  রোববার সকালে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ডাচ বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলোর আঞ্চলিক গণিত উৎসবে বক্তারা একথা বলেন। জেলার আট উপজেলার৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী উৎসবে অংশ নেয়।

সকাল সাড়ে নয়টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্যরা।

উৎসবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফান্নেছা। আর্ন্তজাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের পতাকা উত্তোলন করেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক ওয়াহেদ মুহাম্মদ মুরাদুল কবির।

বক্তব্য দেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এম ফজলুল হক, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়াএকাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. ছৈয়দ করিম, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন।

স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো কক্সবাজার আঞ্চলিক অফিস প্রধান সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান।

আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি প্রথম আলো শিক্ষার্থীদের মন থেকে গণিত ভীতি দুর করার জন্য গণিত উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তাছাড়া ভাষা উৎসব, ইন্টারনেট উৎসব, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য নানা আয়োজন করে আসছে প্রথম আলো। কিন্তু তারপরও এ জেলায় বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এটা কক্সবাজারবাসীর জন্য হতাশাজনক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণিতকে ভালোবাসো, দেশকে ভালোবাসো। তাহলে জীবনের লক্ষে পৌঁছতে পারবে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম বিজ্ঞান অমনস্ক হয়ে পড়েছে। গণিত ও পদার্থে ভীতি বিরাজ করছে। সেই ভীতি কাটাতে প্রথম আলোর এই উৎসব করে চলেছে। গণিতে মুখস্তের কিছু নেই, নিজের মতোকরে শিখতে হবে। কক্সবাজার থেকেই বের করতে হবে জামাল নজরুল স্যার, ডক্টর জাফর ইকবাল স্যার ও কায়কোবাদ স্যারের মতো মহান ব্যক্তি।

আলহাজ্ব মোস্তফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এম ফজলুল হক বলেন, প্রথম আলোর শ্লোগান হচ্ছে ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো। আমিও সেই স্বপ্নে বিভোর থাকি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘গণিত শেখো সঠিক কাজের জন্য।’

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন বলেন, ‘গণিতের যে ভীতি, তা জয় করছে শিক্ষার্থীরা । তিনি বলেন, পরীক্ষার জন্য গণিত শিখবো না, মেধার বিকাশ ঘটাতেই গণিতশিখবো। জীবনের প্রতিটি স্তরেই দরকার গণিত।’

বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. ছৈয়দ করিম বলেন, ‘গণিত হলো সব বিজ্ঞানের গেট ও চাবি। এই জন্য ভয় ছাড়া গণিত শিখতে হবে।

কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লুৎফান্নেছা বলেন, গণিত ছাড়া জীবনটাই অচল। তাই শিক্ষার্থীদের গণিতের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হবে।

একই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, পরীক্ষার জন্য গণিত মুখস্থ করলে হবেনা, গণিত বুঝলে কেউ ঠকাতে পারবেনা।

উদ্বোধনী অনুষ্টানের পর গণিতের ওপর দক্ষতা  যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে জেলার ৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বারের ভিত্তিতে ২৫জন শিক্ষার্থীকে জাতীয় গণিত উৎসবের জন্য নির্বাচিত করা হয়।