শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:
কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। বসতবাড়ী থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি মসজিদের মাইক, ব্যাটারী, দানবক্স চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে। সুযোগ বুঝে তারা হানা দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। অনুরূপ ২৮ জানুয়ারী গভীর রাতে ইউনিয়নের পূর্ব পোকখালী ছড়ার খাঁচা নামক এলাকায় স্থাপিত আন নূর-আজিজিয়া মাদ্রাসা ও হেফজ খানার টিন কেটে অফিস কক্ষে প্রবেশ করে মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা ২ লক্ষ, ভর্তি ফি বাবদ ৬০ হাজার টাকা, চুরি করে নিয়ে যায়। অত্র প্রতিষ্টানের পরিচালক আজিজুল হক রুবেল জানান, ঐদিন রাতে মাদ্রাসা শিক্ষক না থাকায় এবং হেফজখানা বিভাগের শিক্ষকের অগোচরে অফিস কক্ষের উপরে টিন কেটে ৪/৫ জনের সংঘবদ্ধ চোরের দল প্রবেশ করে এ চুরি করেছে। তিনি বিষয়টি ভোরে জানতে পেরে তাৎক্ষনিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদকে জানালে তিনিসহ মুসলিম বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দীনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিক ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, চোরদের স্বনাক্তকরণে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পরিচালক রুবেল জানান, স্থানীয়দের মারফত তিনি জানতে পেরেছেন এলাকার কয়েক বখাটেকে রাতের বেলায় মাদ্রাসার আঙ্গিনা ও সড়কে চলাচল করতে দেখেছে। তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মাধ্যমে। উল্লেখ্য, উক্ত ইউনিয়নে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। বেশ কয়েকদিন পূর্বে আল ফজল পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রবেশ করে মাইক, ব্যাটারী, লাইট ও দানবাক্স, পূর্ব পোকখালীর মৌলভী মোহাম্মদ আলীর বাড়ী থেকে ল্যাপটপ, মোবাইর, টর্চ লাইট, কম্বলসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র এবং হায়রা পাড়া জামে মসজিদের মাইক ও দানবাক্সসহ অহরহ চুরির ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা রাতের বেলায় পুলিশ টহলের জোর দাবী ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব পোকখালী এলাকার ফরিদুল আলমের পুত্র মোর্শেদ কামাল প্রকাশ গুরা পুইত্যা ও জাহেদ কামাল প্রকাশ চুরা বাদশাইয়া নামের ২ যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় পরিষদে ১০/১৫টি চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবন ও বিক্রিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।