স্পোর্টস ডেস্ক:
ঘরের মাঠে এর আগে তিনটি ফাইনাল খেলেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া হয়নি টাইগারদের। এবার তাদের সামনে বড় সুযোগ শিরোপা নিজেদের করে নেওয়ার। আর সেই কাজটি করতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২২২ রান। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে শ্রীলঙ্কা।

মিরপুরের শেরে বাংলায় টস হেরে বল করতে এসে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেই জ্বলে উঠেন মিরাজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরান গুনাথিলাকাকে। তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন মাত্র ৬ রান।

গুনাথিলাকার বিদায়ের পর মাঠে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে মেন্ডিস। মাশরাফিকে চার মেরেই ইনিংস শুরু করেন। পরের ওভারে মিরাজের ওপর তো এক প্রকার ঝড়ই বয়ে গেল। তিন ছয় ও এক চারে এ স্পিনারের ওভার থেকে তুলে নিলেন ২৩ রান। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে মেন্ডিস ঝড় থামান মাশরাফি। মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দি করে মাত্র ৯ বলে ২৮ রান করা ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান টাইগার এ অধিনায়ক।

তৃতীয় উইকেটে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকেন। মিরাজের অষ্টম ওভারে নিরোশান ডিকভেলাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রিভিউ নেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে বল লেগেছিল ব্যাটে।

তবে সাইফউদ্দিনের লেগ স্টাম্পে থাকা শর্ট বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি ডিকভেলা। পয়েন্টে ওঠে যাওয়া সহজ ক্যাচ দুই হাতে মুঠোয় নেন সাব্বির রহমান।

এরপর দেখে শুনে খেলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন থারাঙ্গা। তবে খুব বেশি বড় করতে পারেননি নিজের ইনিংস। এক বল আগে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া এ ব্যাটসম্যানকে পরের বলেই সরাসরি বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান। আর এতেই বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড কাটার মাস্টার।

থারাঙ্গার পর বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই থিসারা পেরেরাকে সাজঘরে ফেরান রুবেল। পুল করে টাইমিংস হয়নি তার, সহজ ক্যাচ ওঠে যায় মিডউইকেটে। দুই হাতে ক্যাচ মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল। আসেলা গুনারত্নেকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন রুবেল।

এরপর এক প্রান্ত ধরে খেলে ৪৫ রান করা অধিনায়ক চান্দিমালকে দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড করেন রুবেল। অভিষিক্ত শিহান মদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে চার উইকেটের দেখা পান রুবেল হোসেন। ধনঞ্জয়াকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। আর ইনিংসের শেষ রাই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন লাকমল।