বিশেষ প্রতিবেদক:
পর্যটন মৌসুমে কিছু অসাধু ব্যক্তি ট্যুরিজম ব্যবসায় নেমে পড়ে। সেই কোন অফিসিয়াল ঠিকানা। তাদের কারণে পর্যটকরা হয়রানীর শিকার। ক্ষুণ্ন হচ্ছে পর্যটন নগরীর সুনাম। সেইসব নাম সর্বস্ব ট্যুরিজম ব্যবসায়ী থাকতে দেয়া হবেনা। তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার থেকে সদ্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদোন্নতি পাওয়া হোসাইন মো. রায়হান কাজেমীকে দেয়া সংবর্ধনায় তিনি কথাগুলো বলেছেন।
দেশের প্রথম ফিস একুরিয়াম রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) দুপুরে রায়হান কাজেমীকে এই সংবর্ধনা দেয় সরকার অনুমোদিত পর্যটনসেবামূলক সংগঠন ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)। মূলতঃ পর্যটন সেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশের সর্বোচ্চ সম্মাননা পিপিএম (সেবা) পদক পাওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেয় টুয়াক।
ট্যুর অপারেটরদের উদ্দেশ্যে রায়হান কাজেমী বলেন, উড়ে এসে জুড়ে বসা কাউকে পর্যটন ব্যবসা করতে দেয়া হবেনা। কোথাও চেয়ার টেবিল সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান দেখলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঠিকানা বিহীন প্রতিষ্ঠানের আড়ালে অনেক অপরাধ-অঘটন ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমার কাছে টুয়াকের নিবন্ধিত সদস্যদের একটি তালিকা পৌঁছেছে। সেই তালিকার বাইরে কোথাও ট্যুর অপারেটর পরিচয় দিলে, পর্যটক হয়রানীর অভিযোগে পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা সরকারকে রাজস্ব দিচ্ছে, তারাই আইনত স্বীকৃত।
ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর সভাপতি এম. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন- রেডিয়েন্ট এর এম ডি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জিএম নিজাম উদ্দিন, টুয়াকের যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিল্কি, সহ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ফোরকান জুয়েল, পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আবেদীন ভুট্টু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজল মহাজন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নাসির উদ্দিন, আরিফুর রহমান, রিয়াজ উদ্দীন, রিয়াজ তারেক, মো কাসেম, আবুল আলা মু ফারুক প্রমুখ। এ সময় সংগঠনের সদস্য ও পর্যটন সংশ্ললিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।