চকরিয়ায় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এর সঞ্জয় দাশের বাড়ীতে অর্তকিত অবস্থায় সন্ত্রাসীরা ঢুকে তার নয় মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহিণীকে মারধর, ঘর-বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাতসহ বসতভিটা জবর-দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪শে জানুয়ারী দুপুর ১টার সময় সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়।

ঘটনাসূত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহ কাটা লোকনাথ পাড়া গ্রামের মৃত ভক্ত দাশের পুত্র সঞ্জয় দাশ(৩৮), তার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী পপি দাশ(৩০) কে সঞ্জয় দাশের বড় ভাই ভয়ংকর সন্ত্রাসী শিমুল দাশ ও তার বড় ছেলেসহ অপরিচিত আরো তিন/চার জন ভাড়াটে লোক এনে তাদেরকে মারধর, ঘর-বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাতসহ বসতভিটা জবর-দখল করার পায়তারা এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার সময়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জড়ো হয়ে এগিয়ে এসে আহত সঞ্জয় ও অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী পপিকে উদ্ধার করে। এমতাবস্থায় তার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাদেরকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়। তবে তান্ডব চলাকালিন সন্ত্রাসীদের হাতে ধারালো অস্ত্র-শস্ত্রসহ লোহার রড় ও শক্ত কাঠ তাদের হাতে দেখতে পায় বলে উল্লেখ করে।

ভুক্তভোগী আহত অভিযোগকারী সঞ্জয় দাশ বলেন, আমি দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ সরকারী বন ভূমির বিশ শতক জায়গার উপর বসবাস করে আসছি। এতে বহু বার বন বিভাগের অসহনীয় অত্যাচার সহ্য করে অদ্যবধি পর্যন্ত এ স্থানে দখলস্থ স্থিতিশীল অবস্থায় থাকি। হঠাৎ আমার বড় ভাই শিমুল (ওমান প্রবাসী) গত ৭//৮ বছর পূর্বে দেশে ফিরলে আমি তাকে আমার বসতভিটার মধ্যে একখানা ঘর তৈরী করে মাথা গোছানোর ঠাঁয় করে দিলে, বর্তমানে সে লোভের বশবর্তী হয়ে ৩/৪ জন ভাড়াটিয়া লোকসহ তার ছেলে এবং সে নিজেই সশস্ত্র দলবলে আমাদেরকে হঠাৎ বাড়ীতে ঢুকে হামলা করে। এতে আমি গুরুতর আহত হই, আমার অন্ত:স্বত্ত্বা স্ত্রী আরো বেশী জখমপূর্ন আহত হয়। তাই এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বর্তমানে আমরা সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। তাই এ বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করছি এবং আমি এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব বলে উল্লেখ করেন তিনি।