এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া
মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে একাধিক ফ্ল্যাট বাড়ি কিনেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে পাচার করা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে এনেছে। এসব টাকা জাতির সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে ব্যায় করেছে সরকার।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়। একবার নয়, পরপর তিনবার। সেই কারনে জাতিকে লজ্জায় মুখ ঢাকতে হয়। বিএনপির নেত্রীর ছেলে ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের লাগামহীন দূর্নীতির কারনে দেশের সুনাম তলানিতে গেছে। অপরদিকে দেশরত্ম শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের সেই দূর্নাম মুছে দিয়েছে। জনগনের মুখ আবারও উজ্জল করেছে। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ১৮৭টি রাষ্ট্রের মধ্যে বিশ^দরবারে সততার সফল রাষ্ট্র হিসেতে তিন নম্বরে খেতাব পেয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে স্বাধীনতার বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মানি দেয়া হতো মাত্র তিন হাজার টাকা। অপরদিকে ক্ষমতায় এসে দেশরত্ম শেখ হাসিনা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান ও সম্মানি বৃদ্দি করেছে। বর্তমানে প্রতিজন মুক্তিযোদ্ধাকে সরকার ১০ হাজার টাকা করে সম্মানি ও বছরে দুটি ঈদ বোনাস দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানে সম্ভব সব ধরণের কর্মসুচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকার ইতোমধ্যে সিদ্বান্ত নিয়েছে আগামী থেকে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বছরে পাঁচটি বোনাস দেবে।
মন্ত্রী মোজাম্মেল হক আরও বলেন, আগামীতেও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও সফল রাষ্ট্রের খেতাব অক্ষুন্ন রাখতে হলে আবারও আওয়ামীলীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে হবে। মানবতার নেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারী) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাটস্থ মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালি স্কুল এন্ড কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষা উপদেষ্ঠা এম মামুনুল হক। মানপত্র পাঠ করেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল্লাহ খালেদ।
কল্যাণ ট্রাস্টের উপদেষ্টা জামাল উদ্দিন জয়নালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা, কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাবেক সাংসদ মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম লিটু। উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা আহমেদ, চকরিয়া পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ারুল হাকিম দুলাল, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান,
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নিমুল কমিটি কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শফি বাঙ্গালী, কানাডা আওয়ামীলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুরজিত দত্ত সৈকত, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ চৌধুরী, বাবু এমআর চৌধুরী, ছৈয়দ আলম কমিশনার, মাতামুহুরী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, আমিনুল হক বিএসসি, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, সাংবাদিক মিজবাউল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ডা.মীর আহমদ হেলালী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ভিপি রোস্তম শাহরিয়ার, কৈয়ারবিল আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম সিকদার, সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেডের এ্যাসিসটেন্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাজিদুল আনোয়ার, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহিদ, সেলিম সিকদার লিটন, কাউন্সিলর রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম রাসেল, মুজিবুর রহমান লিটন, ফরিদুল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাউছার উদ্দিন কছির, তরুন আওয়ামীলীগ নেতা লায়ন আলমগীর চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ হায়দার আলী, শেফায়েতুল কবির বাপ্পী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বদরখালী ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন টিটু, সাহাব উদ্দিন শাকিল, বিএমচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম, হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম, আওয়ামীলীগের সম্পাদক মেহেরাজ উদ্দিন মেরাজ, কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
