বিশেষ প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কালাগাজির পাড়ায় তিন মাসে আগে স্থাপন করা পুলিশ ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এই পুলিশ ক্যাম্পকে ব্যবহার করে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পেয়ে এই ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পটি কালাগাজির পাড়া থেকে প্রত্যাহার করে টাইমবাজার এলাকায় রাখা হয়েছে। কালাগাজির পাড়া থেকে পুলিশ ক্যাম্পটি সরিয়ে নেয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

জানা গেছে, এলাকা থেকে বিতাড়িত জালাল বাহিনীর লোকজন এলাকায় ফিরে। তারা এলাকায় ফেরায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ২০ অক্টোবর একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। কালাগাজির পাড়া সংলগ্ন পদ্মপুকুর পাড়ে ক্যাম্পটি বসানো হয়েছিল। পুলিশ ক্যাম্প বসাতে প্রতিপক্ষের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকা জালাল বাহিনীর লোকজন এলাকায় ফিরে।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, অস্থায়ী ক্যাম্পের পুলিশের নাম ভাঙিয়ে জালাল বাহিনীর লোকজন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। অনেকে ভয়ে চাঁদা দিয়েছে। তবে শেষ মুহূর্তে এলাকার অধিকাংশ মানুষের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে জালাল বাহিনীর লোকজন। এমনকি অনেকে ভয়েুৃ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। শেষে বাধ্য হয়ে লোকজন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নিটক গণ অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে গতকাল রোববার ক্যাম্পটি কালাগাজির পাড়া থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে ক্যাম্পটি টাইমবাজার কৃষি ব্যাংক ভবনে স্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে জালাল বাহিনীর লোকজন এলাকায় ফিরলে তাদের প্রতিপক্ষ জোনাব আলীর গ্রুপের সাথে দ্বন্দ্বে এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে। এই সময়ের দু’পক্ষের দু’জন লোকজন নিহত হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘পুলিশের ভয় ও নাম ভাঙিয়ে স্থানীয় কিছু লোক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও দাবি করেছে। এই অভিযোগ পেয়ে কালাগাজির পাড়া থেকে সরিয়ে ক্যাম্পটি টাইমবাজারে স্থাপন করা হয়েছে।’