২৩ জানুয়ারী পর্যটনমন্ত্রী কক্সবাজার আসছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারে হোটেল শৈবাল এর জমি পরির্দশনে ২৩ জানুয়ারী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল কক্সবাজার আসছেন। মন্ত্রণালয় তথ্য সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। পাবলিক পার্টনারশিপে পর্যটন মন্ত্রলায়ের জমি কক্সবাজারের হোটেল শৈবাল বিষয়ে এক বৈঠক করা হয়। মন্ত্রী একে এম শাহজাহান কামালের সভাপতিত্বে ২১ জানুয়ারী বেলা ১১ টায় পর্যটন মন্ত্রলায় সম্মলেন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কক্সবাজার সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল মন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চান পাবলিক পার্টারশিপে হোটেল শৈবালের জমি কিভাবে দেওয়া হচ্ছে। এমপির প্রশ্নের জবাবে পর্যটন করপোরশেনের চেয়ারম্যান আক্তারুজামান খান কবিরকে মন্ত্রী বলতে বলেন, জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পর্যটনের বিশাল সম্পদ পড়ে আছে। এই সম্পদ কাজে লাগাতে বিগত ২০১৩ সালের দিকে পাবলিক পার্টনারশিপে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পর্যটন মন্ত্রণালয় ওপেন টেন্ডারদেন। টেন্ডারে আন্তজার্তিক মানের ৬ টি প্রতিষ্ঠিানে অংশগ্রহণ করেন। পরে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওরিয়ন গ্রুপ কাজটি পেয়ে যান। কক্সবাজারে হোটেল শৈবালের ১৩০ একর জমি ৫০ বছরের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরের সময় নগদ ৬০ কোটি টাকা, ব্যাংক গ্যারিন্ট ২০ কোটি পি পি পি কে ৮ কোটি মোট ৮৮ কোটি টাকা নগদ দেবে। প্রথম ২ বছর ১২ কোটি সরকারকে জমি ভাড়া বাবত দিতে হবে। পরবর্ততি ৩ বছর ১৬ কোটি টাকা করে সরকারকে জমি ভাড়া বাবত দিতে হবে। এছাড়া প্রতি বছর মুল ভাড়া থেকে (৩ পারসেন) বৃদ্ধি পাবে। এই জমি কোন ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া যাবে না। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের শর্ত সাপেক্ষে ওরিয়ন গ্রুপ উন্নয়নের জন্য ৩ হাজার কোটি বিনিয়োগ করতে হবে । ৫০ বছর শেষে এই বিনিয়োগের মূল্য দাড়াবে ৯৬ হাজার কোটি টাকা। মেয়াদ শেষে পর্যটনের জমি পর্যটনের কাছেই থেকে যাবে। তবে এটি লিজ দেওয়া হচ্ছে না। ভাড়ায় দেওয়া হচ্ছে। এর জবাবে কক্সবাজার সদর আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল চারটি প্রস্তাব পেশ করেন। ওই প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে (১) ৩০ একর জমি কক্সবাজারের জসনগণের জন্য ছেড়ে দিতে হবে সেখানে গাড়ি পার্কিং ,বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহারিত হবে। (২) পার্কটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে নাম করুন করতে হবে। (৩) প্রতিষ্ঠানে স্থানীয়দেরকে ৮০ পারসেন চাকুরী দিতে হবে। (৪) সপ্তাহে একদিন কক্সবাজারের স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য পার্কটি উমুক্ত থাকতে হবে। সূত্রে জানাগেছে চার দাবীর মধ্যে ২,৩,৪ নং দাবীর কথা বাস্তবায়নের সিন্ধান্ত হয় দু পক্ষের মধ্যে। ১ নং দাবীটি নিয়ে পর্যটন মন্ত্রী কক্সবাজার এসে জমি পরির্দশন শেষে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানাগেছে। একই সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মলেন কক্ষে কক্সবাজারের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বসার কথা রয়েছে। ওইসভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহাম্মদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখানে আগে কাউকে জানানো হয়নি, আমি জানি না। এর পরেও কক্সবাজারবাসীর স্বার্থ সমুন্নত রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম হলে পর্যটক ও পর্যটন নগরবাসীর জন্য ভাল হবে। বক্তব্যে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবাইদুল করিম বলেন , ১৩০ একর জমির মধ্যে ৫৯ একর জমিতে কোন উন্নয়ন মূলক কিছু করা যাবে না। সেখানে ঝাউবাগান রয়েছে। অপর দিকে ৪৫ একর জমিতে সিভিল এভিয়েশিন কোন স্থাপনা করতে দিচ্ছে না। শুধু মাত্র ১৬ একর জমিতে স্থাপনা করা যাবে। তবে ৬য় তলার বেশি নয়। এর মধ্যে যদি ৩০ একর জমি ছেড়ে দিতে হয় তাহলে দুবাইয়ের কোম্পানী কোন বিনিয়োগ করবে না বলে শেষে করেন। ওই সভায় উপস্থিতি ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রলায়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সাইফুল্লাহ মকবুল মোরশেদ দুলাল, অতিরিক্ত সচিব জিয়াউল হক, সিভিল এভিশিয়নের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ নাঈম, পর্যটন করপোশনের চেয়ারম্যান আক্তারুজামান খান কবির, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ শামীম আলম, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহাম্মদ, ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবাইদুল করিম, প্রকল্প পরিচালক লেঃ জেনারেল (অবঃ) ছাব্বির আহাম্মদ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এডিএম খালেদ মাহমুদ। ওরিন গ্রুপের পিইও সাঈদ আবছার, কর্মকর্তা অমিত হাসান হিমেল, সাইফ ফেরদৌসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিরেলন। পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য সূত্র নিশ্চিত হওয়া গেছে।