মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :

পোকখালীতে নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীতে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ নিয়ে সংক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক। ইউনিয়নের নাইক্ষ্যংদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে মারধরের কারণ নিয়ে দু’ধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগ প্রকাশ, পোকখালী নাইক্ষ্যংদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোর্শেদকে বেদম মারধরে আহত করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিক মিয়া আজাদ। আহত শিক্ষার্থী স্থানীয় মোহাম্মদ ইদ্রিছের পুত্র। আহতের পিতা জানান, তার ছেলে গত বার্ষিক পরীক্ষা দিতে না পারায় কয়েকদিন আগে পুনরায় একই শ্রেণিতে (৪র্থ) ভর্তি হয়। তাকে ক্লাসে দেখে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তোমাকে কে এখানে ভর্তি করিয়েছে এ কথা বলে বেদম মারধরে গুরুতর আহত করেন। আহত ছাত্রকে ঈদগাঁওস্থ ডা. রূপস পালের নিকট চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সহপাঠির সাথে ঝগড়া করায় দু’জনকে মৃদু শাস্তি দেয়া হয়েছে। ক্লাসের অন্যরাও তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করেছে। শেষে তাদের দু’জনকে মিলামিলও করে দেয়া হয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত ব্যাপারে মারধর করা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি সত্য নয় জানিয়ে বলেন, অত্র বিদ্যালয়ে তার ৯ বছরের চাকরি জীবনে এ ধরণের কোন রেকর্ড নেই। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জাহেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রকৃত ব্যাপারটি না বলে সংশ্লিষ্ট অভিভাবকের সাথে কথা হয়েছে বলে জানান। এদিকে এ সংক্রান্ত ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সেতারা বেগমের নম্বর চাইলেও দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অভিভাবক পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা আইনী প্রতিকার পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।