শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদর ও চকরিয়ার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর খুটাখালীর মধ্যবর্তী এলাকায় ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন মহাসড়কের পূর্ব পাশের্^ সামাজিক বনায়নের প্লট দখলের ঝুঁপড়ি উচ্ছেদ করতে গিয়ে বন কর্মকর্তা ও দখলদারদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা স্থানীয় ১ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্বজনারা। এসময় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও হেডম্যানকে লাঞ্চিত ও মারধর করতে উদ্যত হয়। ১৮ জানুয়ারী দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে বর্ণিত এলাকার মহাসড়কের পূর্ব পাশে। চকরিয়া থানার পুলিশ ও বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও সংগঠিত ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ ও বন বিভাগ। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাশর্^বর্তী খুটাখালী ইউনিয়নের শিয়াপাড়া এলাকায় মৃত আলী আহমদের পুত্র একাধিক মামলার আসামী আবদুর রশিদ প্রকাশ পেটান, ছৈয়দ আলমের পুত্র এনামুল হক, আলী হোসেনের পুত্র জসিম মেম্বার, তৈয়ম গোলালের পুত্র ইমাম শরীফের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ মহিলা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ২০০৪-০৫ সালের সামাজিক বনায়নের আনুমানিক ৩০ কানি মত রিজার্ভ জায়গা রাতের অন্ধকারে ৮টি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে দখল করে নেয়। পরদিন খবর পেয়ে বিকাল ২টার দিকে প্লটের কয়েক উপকারভোগী বিষয়টি দেখতে গেলে পেটানের নেতৃত্বে আরো কয়েক ব্যক্তি ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয় এবং ঐদিকে গেলে গুলি করে হত্যা করারও হুমকি প্রদর্শন করে। এ সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিট কর্মকর্তা, হেডম্যান, ভিলেজার ও স্টাফ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা দখলবাজ সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হয়। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জুমনগর এলাকার মনুর আলম প্রকাশ বাসুর পুত্র ডাঃ সাহাব উদ্দীন নামের এক পথচারীকে উপর্যুপরী মারধর ও বনবিভাগের কয়েকজন স্টাফের উপর চওড়া হয় দূর্বৃত্তরা। বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক তাৎক্ষনিক চকরিয়া থানাকে অবহিত করলে এসআই সুকান্ত দাশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সংগঠিত ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।