কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া:
মিয়ানমারের ন্যাপিডোতে মঙ্গলবারের দ্বিপাক্ষিক রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত সমঝোতা বৈঠকে রোাহিঙ্গাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার সরকার। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসার কাজ শুরু করেছে। পার্বত্য জেলা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকাস্থ শূন্য রেখায় আশ্রিত প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গা থেকে আজ বুধবার সকালে ১৩৭ পরিবারের ৬৪০ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ি সাপমারাঝিরি, দুছড়ি, কোনারপাড়া এলাকাস্থ শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়। সরকার ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এসব রোহিঙ্গদের যাবতীয় সেবাসমূহ দিয়ে আসছে। এসময় রোহিঙ্গদের প্রশাসন কুতুপালংয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তারা দ্বিমত পোষণ করায় ওই সব রোহিঙ্গারা প্রায় পাঁচ মাস ধরে সেখানে অবস্থান করছিল।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কক্সবাজার জেলার কোর্ডিনেটর সেলিম আহমদ জানান, প্রত্যাবাসন চুক্তি যখন সম্পন্ন হয়েছে তখন আর কোনো রোহিঙ্গাকে বাইরে রাখা যাবে না। তিনি বলেন, পার্বত্য জনপদের শূন্যরেখায় অবস্থিত ১৬ হাজার রোহিঙ্গকে চলতি মাসের মধ্যে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল জানান, সাপমারাঝিরি ক্যাম্প থেকে গতকল বুধবার সকালে ১৩৭ পরিবারের ৬৪০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার ১৪৭ পরিবারের ৬০৯ জন ও গত সোমবার ৪৬ পরিবারের ১৯৯ জনসহ তিন দফায় ১৪৪৮ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি ১৫ হাজার ৫৫২ জন রোহিঙ্গাকে এমাসের মধ্যেই কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান জানান, ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গদের নিবন্ধন সম্পন্ন করে কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় দেয়া হবে।