এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ায় ভূয়া জমির মালিক সাজিয়ে উপকূলীয় বদরখালীতে মো.ছৈয়দ আলম নামের এক চাষীর কাছ থেকে মৎস্য ও লবণ মাঠ চাষের বর্গা লাগিয়তের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ৭লাখ ৬হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী চাষী পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিয়ারদ্বিয়া এলাকাকার মৃত গুরামিয়া পুত্র।এ নিয়ে আক্রান্ত চাষী ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে অভিযুক্ত বিরুদ্ধে ১৫জানুয়ারী সোমবার রাতে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে সূত্রে জানাগেছে,উপকূলীয় বদরখালী ২নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব নতুন ঘোনা এলাকার মৃত জহির আহাম্মদের পুত্র মো:বাবুল ভূয়া জমির মালিক সাজিয়ে করিয়ারদ্বিয়া নাপিতের ঘোনার ৫.৪০শতক জমি মৎস্য ও লবণ চাষের ২০১৮সালের জন্য বর্গা লাগিয়তের কথা বলে সম্পূর্ণ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে উপজেলার পাশ্বোক্ত পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিয়ারদ্বিয়া এলাকাকার মৃত গুরামিয়া পুত্র মো.ছৈয়দ আলমের কাছ থেকে ৭লাখ ৬হাজার টাকা আত্মসাতের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন।গত২০এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগা রওশন মার্কেট(দুলাল মার্কেটে) প্রথমে নগদ ৪লাখ ৪৮ হাজার টাকা এবং লামা ফাঁসিয়াখালীস্থ হায়দারনাশী এলাকার জৈনক আমিন মেম্বর ও প্রবাসী বিটুর ১২কানি জমি বর্গা লাগিয়তের কথা বলে ভাউচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২লাখ ৫৮হাজার টাকা গ্রহণ করেন অভিযুক্ত বাবুল।অভিযুক্ত বাবুল সম্পূর্ণ প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েও ভুক্তভোগী চাষীকে মৌসুমের লবণ মাঠ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য কথা বললে সে উল্টো থাকে নানা ধরণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।এমনকি ভুক্তভোগী মৎস্য ও লবণ চাষের বর্গা দেয়া টাকা ফেরত চাহিলে মুঠোফোনে অপহরণসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করেন।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো.বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,টাকা আত্মসাত করার বিষয়ে একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।তদন্তপূর্বক অভিযোগ প্রমাণিত হলেই তা আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।