মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ 

টেকনাফকে গ্রাস করেছে মরণ নেশা ইয়াবা। এসব মরন নেশা প্রথমে প্রবেশ করে উচ্চবিত্ত পরিবারে। পরে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এর প্রতি আসক্ত হচ্ছেন এ ভয়াবহ নেশায়। অভিজাত নেশাদ্রব্য হিসেবে পরিচিত ইয়াবায় এখন টেকনাফ উপজেলাকে জর্জরিত করেছে। মেথঅ্যাম্ফিটামিন ও ক্যাফেইনের মিশ্রণে তৈরি ইয়াবা ট্যাবলেট কেড়ে নিচ্ছে এখানকার তারুণ্যকে। মাধ্যমিক,কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছাড়া ও রিকশাওয়ালা, তরকারিওয়ালা, বাজারের আড্ডাবাজ এবং বখাটে তরুণ আর শিশুরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে এ মরণ নেশায়। মাদক বিক্রেতাদের নাম পরিচয় সবার কাছে ওপেন সিক্রেট হলেও বিভিন্ন ছত্রছায়ায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এতে শুধু অভিভাবকরাই নয় বরং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সদস্যদের মাঝেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

টেকনাফ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ১০-১৫টি স্পটে জমজমাট মাদক খুচরা ব্যবসা ও সেবন চলছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। এছাড়াও সন্ধ্যার পর গ্রামের অন্ধকার রাস্তায় জমে ১২/১৪ বছর বয়সী শিশু থেকে ৪০/৬০ বছরের যুবক ও বৃদ্ধাদের ভিড়। আবার গ্রামের কিছু বাড়িতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে এসব ইয়াবা। আকারে ছোট ও বহন সহজসাধ্য হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনী বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেও এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারেনি বলে জানা যায়। সূত্র জানায়, টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম হয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস অথবা যাত্রীবাহী বাস ও বিমান যোগে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে পৌছে যায় বহুল আলোচিত এ মাদক। এছাড়াও মোবাইল ফোনে নির্দেশনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জায়গায় খুচরা বিক্রেতারা ইয়াবাসেবীদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী পৌঁছে দেয়। এক্ষেত্রে মফস্বল এলাকায় তাদের নির্ধারিত কিছু রিকশাচালকও রয়েছেন। গত কয়েকদিনে বিজিবি ও কোষ্টগার্ডের পৃথক অভিযানে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। সাথে জব্দ ট্রলার জব্দ করা হলে ও একটির সাথেও কোন পাচার কারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন এত বড় বড় ইয়াবার চালান গ্রেফতার হলে ও কেন পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে পারে। এবিষয়ে উচ্ছ মহলের নজর দারী ও কামনা করেন।