হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

‘খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী’ শুরু হওয়ার আগেই তথ্য সংগ্রহকারীর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা শুমারীর জরুরী ডকুমেন্ট ছিঁড়ে নষ্ট করে ফেলেছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উঞ্চিপ্রাং রইক্ষ্যং বড়খিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

১৩ জানুয়ারী রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উঞ্চিপ্রাং রইক্ষ্যং গ্রামের আশ্রফ আলীর পুত্র হামলার শিকার ‘খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী’র তথ্য সংগ্রহকারী স্থানীয় ‘মোয়াস’ হাসপাতালে কর্মরত ও কক্সবাজার সরকারী কলেজের ছাত্র হাফেজ করিম উল্লাহ জানান ১০ জানুয়ারী রাত ৮টার দিকে নুরুল ইসলামের পুত্র জিয়াউর রহমান কালুর নেতৃত্বে আরও কয়েকজন বখাটে যুবক হামলা চালিয়ে মারধর করে নগদ টাকা, মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।

এসময় তারা আরও কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা এবং রোহিঙ্গাদের নিকট থেকে বিভিন্ন মালামাল কেড়ে নেয়। তিনি আরও বলেন ‘আমি অধ্যয়ন করার পাশাপাশি স্থানীয় ‘মোয়াস’ হাসপাতালে কর্মরত আছি। তাছাড়া ‘খানা তথ্য ভান্ডার শুমারী’র তথ্য সংগ্রহকারী। হামলাকারীরা পরিসংখ্যান ব্যুরোর শুমারী সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের জরুরী কাগজপত্র কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। হামলার শিকার লোকজনের শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ছিনতাইকারী জিয়াউর রহমান কালুকে গণধোলাই দেয়। এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে নিরীহ ৮ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে’।