সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত এবং দেশজুড়ে বহুল আলোচিত ঘটনা ” কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ায় স্কুল শিক্ষক কর্তৃক অভিভাবককে বেঁধে মারধর ” নিয়ে একটি মহল বিশেষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে বলে দাবি খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স ট্রেড লিংক এর শ্রমিক-কর্মচারীবৃন্দ।

শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি, খরুলিয়ায় শিক্ষা বাণিজ্যে লিপ্ত একটি চক্রের যোগসাজশে এলাকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াত-শিবিরের ইন্দনে স্বার্থন্বেষী মহল বিশেষ এ অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

মূলত : দেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সঙ্গে খরুলিয়া ঐতিহ্যময় এনামুল হকের পরিবার আত্মিকভাবে জড়িত। এ নিয়ে বরাবরই পরিবারটির প্রতি স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির রুষ্ট ছিল।
এনামুল হক বিগত ২০১০ সাল থেকে সুনামের সাথে খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলটি বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ফলাফলের দিকে সন্তোষজনক অর্জন অব্যাহত রয়েছে। বলতে গেলে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হিসেবে পূর্ণাঙ্গতা পায়। এতে খরুলিয়া এলাকায় শিক্ষা বাণিজ্যে লিপ্ত চক্রটির আঁতে-ঘা লাগে। চক্রটি এনামুল হকের সুনাম ক্ষুন্ন করতে গত ৭ জানুয়ারী খরুলিয়া সংঘটিত ঘটনাটিতে জড়িয়ে নানা মহলে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার ছড়াচ্ছে।

এনামুল হক শুধুমাত্র বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি তা বড় নয়, তিনি প্রতিষ্ঠানটির জমি দাতাও। তিনি আজীবন সদস্যের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণসহ নানাভাবে উন্নয়নে অবদান রেখে চলছেন। এটি ষড়যন্ত্রকারি মহল বিশেষের কাছে সহ্য হচ্ছে না।

প্রকৃত ঘটনা হল, ঘটনার দিন কথিত নির্যাতনের শিকার মো. আয়াতুল্লাহ খরুলিয়া কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান বোরহান উদ্দিনের কাছে গিয়ে বিনা বেতন-ফিতে সন্তানকে ভর্তি করতে অন্যায্য দাবি করে। এতে রাজী না হওয়ায় শিক্ষকের উপর তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে প্রধান বোরহান উদ্দিনকে তিনি কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। পরে পার্শ্ববতী খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক সহ অন্য শিক্ষকরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে স্কুলের ছাত্ররা এসে আয়াতুল্লাহকে বেঁধে মারধর করে।

পরে ঘটনাটি শিক্ষকরা স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হককে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে শহর থেকে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। এসময় ঘটনাস্থল ভিড় করা উৎসুক জনতাকে জড়ো থাকতে দেখে সরে যেতে বলে অনুরোধ করেন। এরপরও লোকজন না সরায় তিনি একটি দন্ড হাতে নিয়ে ভয় দেখান। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ষড়যন্ত্রকারি মহল বিশেষের লোকজন কূট-কৌশলের আশ্রয় নিয়ে স্থির ছবি ও ভিডিও চিত্রধারণ করে।

এটিকে পুঁজি করে মহল বিশেষ আয়াতুল্লাহকে মারধরের ঘটনায় জড়িয়ে এনামুল হককে জড়িয়ে অপপ্রচারের জাল বিস্তার করছে। অথচ ষড়যন্ত্রকারি মহল বিশেষটি আয়াতুল্লাহকে তিনি মারধর করচ্ছেন এমন ছবি ও ভিডিও দেখাতে পারবেন না।

আমরা এনামুল হকের স্বত্ত্বাধীন মেসার্স ট্রেড লিংক এর শ্রমিক-কর্মচারীরা এ ধরণের জঘন্য মিথ্যা অপপ্রচারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

সেই সঙ্গে মিথ্যা অপপ্রচার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আহবানকারি :
মেসার্স ট্রেড লিংক এর
শ্রমিক-কর্মচারীদের পক্ষে
ম্যানেজার
মোবারক আলী।