ছালাম কাকলী:

মহেশখালীতে  ২ গ্রুপের দ্বন্দের কারণে কালাগাজী পাড়ার লোকজনের প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছে। এমনকি গত ৩ সপ্তাহে ২ খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার নারী-পুরুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জালাল বাহিনীর সদস্যরা বুধবার ভোরে ঐ এলাকার ৬টি বাড়ীর মালামল লুট করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। সস্ত্রাসীদের ভয়ে এ আগুন নিভাতে এগিয়ে না আসায় সন্ধায় ৬টা পর্যন্ত এ আগুন জ্বলেছে ।

হোয়ানক ইউয়িননের কালাগাজি পাড়াটি এ সময়ে মহেশখালীর শান্ত এলাকা নামে পরিচিতি ছিল। কিন্তু জোনাব আলী মেম্বার ও জালাল বাহিনীর ক্ষমতা প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৫ বছর ধরে উভয় গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধে এস,আই, পরাশ বড়ুয়া সহ ১১ জন খুন হয়েছে। ঐ এলাকার আইন শৃখলা রক্ষায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ জালাল বাহিনীর পক্ষ নেয়ায় জালাল বাহিনীর সদস্যরা এখন রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারায় এবাহিনীর সদস্যরা বীরদর্পে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নির্ধারিত টাকা আদায় করে নিচ্ছে। এবাহিনী প্রকাশ্যে পুলিশের ছত্রছায়ায় এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও জোনাব আলী মেম্বারের লোকজনের এলাকা ছেড়ে অন্যত্রে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগে জালাল বাহিনীর সদস্যরা এলাকার নিরীহ লোকজনের মালামাল লুঠ করে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে জালাল বাহিনীর গুলিতে জোনাব আলী মেম্বারের পুত্র গত ৩ সপ্তাহ পূর্বে আবু কাইছার নিহত হয়েছে। এ নিহতের ঘটনা ব্যাপারে পুলিশ মামলা না নেয়ায় নিহতের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনরা কক্সবাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারী রাত ৮টায় জোনাব আলী মেম্বারের লোকজন কালাগাজি পাড়ার বাজারে ঢুকে আবুলকালামের পুত্র আবছারকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জালাল বাহিনীর লোকজন শুক্রবার ভোরে কালাগাজির পাড়ার ৬টি বাড়ীর মালামাল লুটপাঠ করার পর আগুন দিয়ে জালিয়ে দিয়েছে।

এলাকাবাসির অভিযোগ পুলিশ এক পক্ষে নেয়ায় এলাকায় আরো খুন বেড়ে গেছে। এদিকে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ দাশ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান ৬টি বাড়ীতে আগুন দেয়ার কথা তিনি শুনেননি।