লোহাগাড়া প্রতিনিধি:

লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা টোকাই সাজ্জাদ (২৬) ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারী) রাত ৮টায় তাকে আটক করে। সে লোহগাড়া সদর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন পাড়ার মো: ইসমাঈলের পুত্র।

থানা সুত্রে প্রকাশ, লোহাগাড়া থানার এসআই মো: হেলাল খাঁন, এএসআই মোর্শেদ আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা টোকাই সাজ্জাদকে লোহাগাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পাচার কালে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে।

জানা যায়, টোকাই সাজ্জাদ লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে নিজেকে জাহির করে থাকেন। বিভিন্ন সময় ছবিসহ ব্যানার পোষ্টারে ছাত্রলীগের বড় বড় নেতাদের ছবি দিয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে বিভিন্ন উৎসবে শুভেচ্ছা জানান। সে একেক সময় এেকক নামে পরিচিত। কখনো টোকই সাজ্জাদ, আবার কখনো ছাত্রলীগে নেতা। টোকাই সাজ্জাদ ছাত্রলীগের ব্যানাওে মিছিল-মিটিং করতো। সে হিসেবে তাকে সবাই ভয় পেতো। তার আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাবাই আনন্দে মেতে ওঠে। যেন স্বাধীন লাভ করেছে। আমিরাবাদ বটতলী স্টেশন যেন তার দখলে এমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করে আমিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমিরাবদ বটতলী স্টেশন নিয়মিত টোকাই সাজ্জাদের ইশারায় ছিনতাই হয়।

স্থানীয় সুত্রে প্রকাশ, টোকাই সাজ্জাদ লোহাগাড়ায় ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার কওে ইয়াবার বড় বড় চালান পাচার করে। সে এলাকার বিভিন্ন অপকর্মেও সাথে সরাসর জড়িত। তার অতিষ্ঠে বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্রীরা একা চলাচল করতে ভয় পেত। এমনকি অনেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সে উপজেলার আলহাজ¦ মোস্তাফিজুর রহমান কলেজে অধ্যয়নরত বলে জানান।

লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রিওয়ানুল হক সুজন বলেন, টোকাই সাজ্জাদ ছাত্রলীগের কেউ নন। সে তার অপকর্ম ঢাকানোর জন্য প্রায় সময় ছাত্রলীগের ব্যনারে মিছিল মিটিং করে ছবি তুলেন। সে নিজের ইচ্ছায় মিছিল মিটিং এ আসত। তার সাথে ছাত্রলীগের কোন সম্পর্ক নেই।

লোহাগাড়া থানার ওসি মো: শাহজাহান পিপিএম বার বলেন, টোকাই সাজ্জাদের বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাকে পুলিশ খুঁজছে। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বটতলী স্টেশন থেকে ইয়াবা পাচার কালে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করে থানা পুলিশ।