মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :

অবশেষে আইনি প্রক্রিয়ার পর দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন পরে দেশে পৌঁছালো পেকুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের মিয়ার পাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসি মোশারফ হোসেইন এর মরদেহ। শুক্রবার রাত ১:৩০ টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পোঁছাই তার মরদেহ। সেখান থেকে তার পরিবারের সদস্যরা মরদেহ গ্রহণ করেন।

আজ শুক্রবার বিকালের দিকে মোসাররফের পারিবারিক কবর স্থান মিয়ার পাড়ায় জানা শেষে দাপন করা হওয়ার কথা রয়েছে।

জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর ১৭ সকালে ১০:০০ টার দিকে সৌদি আরবের জিজান আল আরধায় নিজ কর্মস্থলে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুদী জঙ্গী গোষ্টির অতর্কিত বোমা হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হলে তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে সেখানের আবু আরিশ কিং ফরহাদ জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ অক্টোবর সকালে মারা যায় মোশাররফ।

সৌদিতে বসবাসরত মোশারফের চাচা মুহাম্মদ রহিম এর সাথে কথা বলে জানাযায়, গত রমজানের আগে জীবিকার টানে বাগ্য বদলাতে সৌদিআরব আসেন নিহত মোশারফ। কিন্তু বাগ্যের পরিণাম যে তার মৃত্যুতেই পরিনত হবে কে জানত? প্রবাস জীবনে মাত্র ছয়মাস হতে না হতেই বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন মোশারফ। তিনি বলেন সৌদিতে কেউ এরকম হামলার শিকার হলে সৌদি সরকার কর্তৃক নিহতের পরিবারকে ১০ লক্ষ্য রিয়াল ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান থাকলেও মোশারফের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আমরা তার মরদেহ দেশে প্রেরণের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। যার কারণে এতদিন সময় লেগে যায়। এব্যাপারে সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে তার সহযোগীতা চায় বলে জানান তিনি।