সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা :

টেকনাফের হ্নীলায় পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বাণিজ্যের কারণে অল্পবৃষ্টিতে সড়কে পরিত্যক্ত মাটিতে চরম কর্দমাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়,গত ২/৩দিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে পাহাড়ী মাটি ও কাঁদায় জনগুরুত্বপূর্ণ হ্নীলা পুরাতন বাজার সড়কের বেহাল দশা বিরাজ করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর অবর্ননীয় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিট অফিসারকে ম্যানেজ করে হ্নীলার বিভিন্ন পাহাড় ও টিলা থেকে মাটি কেটে হ্নীলা পুরাতন বাজার সড়ক ও ফুলের ডেইল সড়ক দিয়ে ১০/১২টি ট্রলি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাটি সরবারহ দিয়ে আসছে। এতে বহনের সময় পরিত্যক্ত মাটি রাস্তার উপরে থাকায় গুড়ি গুড়ি অল্প বৃষ্টিতে রাস্তার উপর কাঁদা ও পিচ্ছিলাতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী-পথচারীরা চরম বিপাকে পড়েছে। এ সড়কটি উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হ্নীলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন ও হাজার শিক্ষার্থী –এলাকাবাসী যাতায়াত করে আসছে। এলাকাটিতে রয়েছে বেশ ক’টি স্কুল-মাদ্রাসা ও সরকারী অফিস। তার মধ্যে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়, হ্নীলা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হ্নীলা শাহ্ মজিদিয়া আলিম মাদ্রাসা, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ, হ্নীলা ভূমি অফিস, হ্নীলা পোস্ট অফিস, বিজিবি’র হ্নীলা সীমান্ত ফাঁড়ী ও কাস্টম অফিসে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থী-পথচারী চরম বিপাকে পড়েছে। যাতায়াত করতে গিয়ে কাঁদা ও পিচ্ছিলতার কারণে অনেক পথচারী আচাড় খেয়ে পড়েতে দেখা গেছে। এদিকে হ্নীলা বিট কর্মকর্তা বিরুদ্ধে একজন পকেট ভিলেজারকে দিয়ে পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি বাণিজ্যে করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষক-সাংবাদিক মুহাম্মদ ছলাহ উদ্দিন জানান, টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকায় ডাম্পার এবং ট্রলি মাটি পাচারে ব্যবহার হচ্ছে। পাচারের সময় গাড়ীর পরিত্যক্ত মাটি অল্প বৃষ্টিতে এখন সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় পথচারীরা আচাড় খেয়ে পড়েতেছে। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা রফিক উদ্দিন জানান, আসলেই পাহাড় এবং টিলার মাটি কাটার কারণে সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে। পরিত্যক্ত মাটিতে পিচ্ছিল সড়কে চলাচলে জনসাধারণের কষ্ট হচ্ছে। সড়কের এমন অবস্থা থেকে রেহাই পেতে তিনি পাহাড় এবং টিলার মাটি পাচার বন্ধের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এদিকে কক্সবাজার দক্ষিন বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক দেওয়ান মো: আব্দুল হাই জানান, আসলে বিষয়টি সত্য। পরিত্যক্ত মাটির কারণে সড়ক-মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে গেছে। তিনি সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে পাহাড় এবং টিলার মাটি পাচার বন্ধে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানান।