সোয়েব সাঈদ, রামু:

টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন স্কেলসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নে রামু উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছেন। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশে একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। রামুতে কর্মবিরতির কারনে উপজেলার সবকটি টিকা দান কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।

কর্মবিরতি চলাকালে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন রামু উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন, রামু উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারিবৃন্দ। এতে স্বাস্থ্য সহকারিদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক নেতৃবৃন্দ।

মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন রামু উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাবেদ, কক্সবাজার জেলা শাখার সহ সভাপতি আহমদ উল্লাহ, জেলা শাখার মহিলা সম্পাদক মুহিতুন্নেছা প্রমূখ।

এসময় স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিপ্লব বড়–য়া, সুনীল শীল, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক দর্পণ বড়–য়া, বাবুল শর্মা, পংকজ শর্মা, অরিন্দ্র বড়–য়া, স্বপন ভট্টাচার্য, শফিউল আজম উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনকারিদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এসময় বক্তারা বলেন, বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকিভাতা, প্রতি ৬ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ ও ১০ শতাংশ পোষ্য কোটা প্রবর্তনের দাবিতে তারা এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারিদের টেকনিক্যাল বেতন স্কেল ঘোষনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এখন তারা এ ঘোষনার বাস্তবায়ন চান। উপজেলায় কর্মরত ১৯ জন স্বাস্থ্য সহকারি ছাড়াও উপজেলার স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।