নুসরাত পাইরিন:

“নারী পুরুষ নির্বিশেষ,সমাজসেবায় গড়বো দেশ” এ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে নানান আয়োজনে পালিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা,বিভিন্ন ভাতা পরিশোধ বই ও উপ-বৃত্তির চেক বিতরণ।

সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে এক র‌্যালি বের করা হয়। জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন মহোদয়ের নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন মহোদয়। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রীতম কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দু:স্থ ও অসহায় মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে কল্যাণধর্মী বিভিন্ন কর্মসূচির প্রবর্তন করে গেছেন। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে নতুন নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক সেবার পরিধি আরও বৃদ্ধি করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মহোদয়। এছাড়া তিনি সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ভাতাপ্রাপ্তকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে তাদের পরিবারের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে অসহায় ও দু:স্থদের জন্য আরও সহযোগীতা করা হবে বলে জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার কানন পাল, সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরী, শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক জেসমিন আকতার,সরকারি শিশু পরিবারের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মো: মাহিদুর রহমান, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট তানভীর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক, জেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মরত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপরে ১৭৪জন বয়স্ক,বিধবা ও প্রতিবন্ধি-কে ভাতা পরিশোধ বই, ২জনকে চিকিৎসা সেবা এবং দলিত-হরিজন সম্প্রদায়ের ১৪জন শিক্ষার্থীকে উপ-বৃত্তি–র চেক বিতরণ করা হয়।