মো. নুরুল করিম আরমান, লামা:

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সাবেক লামা মহকুমাকে প্রশাসনিক জেলায় উন্নীত ও ১৯ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে লামা উন্নয়ন ও জেলা বাস্তবায়ন কমিটি পূন:গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে প্রেসক্লাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সভায় এ কমিটি পূন:গঠন করা হয়। সভায় এম. রুহুল আমিনকে সভাপতি ও সাংবাদিক মো. কামরুজ্জমানকে মহসচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়।

কমিটির পদপ্রাপ্তরা হলেন- সহ সভাপতি এডভোকেট মামুন মিয়া, এডভোকেট মৃদুল কান্তি বড়–য়া, ড. অজয় কুমার দত্ত, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল আজিজ, বীরমুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক প্রিয়দর্শী বড়–য়া, ডা: সিরাজুল ইসলাম, মো: তাজুল ইসলাম, এডভোকেট মো: এমদাদ উল্ল্যাহ, অধ্যাপক আরিফ চৌধুরী, অধ্যাপক মহিব উল্ল্যা, এডভোকেট মতিউর রহমান, মো: অলিউল্লাহ, বিজয় আইচ। মো: রফিকুল ইসলাম, মো: ইউছুপ মজুমদার, মো: জাপান বড়–য়া, থুইনিমং মার্মা যুগ্ন মহাসচিব। সাংগঠনিক সম্পাদক হলো- মো: ফরিদ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, মো: শাহিন আলম। আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট গোলাম মাওলা ধ্রুব (ইরাক), অর্থ সম্পাদক-মো: শাহিন, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক- সাইফুল ইসলাম সোহেল, সমাজ সেবা সম্পাদক-মো: শাহজাহান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক- জাহানারা আরজু, দপ্তর সম্পাদক,- এম বশিরুল আলম, আপ্যায়ন সম্পাদক-মো: হারুন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সম্পাদক- বাবু মং মার্মা।

কমিটির প্রধান পৃষ্টপোষক ও উপদেষ্ঠা হিসেবে রয়েছেন- লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল ও ফাতেমা পারুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যঅন আবু তাহের ও শরাবান তহুরা। এছাড়া লামা-আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, হেডম্যান, লামা আইনজীবি সমিতির সভাপতি। গঠিত কমিটি ১৯ দফা দাবী বাস্তবায়নে কাজ করবেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বলা হয়। দফা সমুহ হচ্ছে: বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার সাবেক লামা মহকুমাকে প্রশাসনিক জেলা ঘোষণা ও বাস্তবায়ন, মাতামুহুরী নদীর গতি পরিবর্তন ও লামা শহর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, লামা মাতামুহুরী কলেজে অনার্স মার্ষ্টাস কোর্স চালুসহ বিশ^বিদ্যালয় কলেজে উন্নীত করণ, লামায় একটি আবাসিক মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা ও চালু করণ, সাবেক লামা মহকুমা সদরে সিনিয়র সহকারী জজ কোর্ট প্রতিষ্ঠা ও চালু করণ, লামায় একটি কারাগার নির্মাণ করণ, লামা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরষণ করণ, লামা সরকারি হাসাপাতাল ৫০ শর্য্যা চাল করণ ও ১০০ শয্যা উন্নীত করণসহ ডাক্তার, জনবল সংকট নিরসণ করা, লামাকে জেলায় উন্নীত করে নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ও লামার গজালিয়কে উপজেলায় উন্নীত করণ, লামাকে জেলায় উন্নীত করে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও জান-মালের নিরপত্তার স্বার্থে লামা উপজেলার আজিজনগর, বনপুর, সরই, আলীকদমের করুকপাতাঝিরি এলাকায় একটি করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র/থানা প্রতিষ্ঠাসহ লুলাইন, কালোবড়পাড়া, পোপা, সাপেরগাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী যেমন- বিজিবি আরম্স পুলিশ ও আনসার ক্যাম্প স্থাপন করণ, লামা উপজেলা পরিষদ ভবন ও আবাসিক সরকারি কোয়াটার নির্মাণ করণ, লামা আদালত ভবন নির্মাণ করণ, লামার মিরিঞ্জা পর্যটন কেন্দ্র’র উন্নয়নসহ ট্যুরিজম পুলিশের ক্যাম্প স্থাপন করণ, লামা উপজেলার কুমারী ও সরই এলাকায় প্রাকৃতিক রাবার শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা করে এতদসংক্রান্ত অর্থনৈতিক জোন সৃষ্টি করণ, লামা উপজেলায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সংরক্ষণের জন্য একটি হীমাগার স্থাপন করা, সাবেক লামা মহকুমায় প্রাপ্ত প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ আহরণ ও উত্তোলন করে দেশের চাহিদা পূরণ ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করণ, সাবেক লামা মহকুমার বন, নদী-খাল, ঝিরি-প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকারের প্রদক্ষেপ গ্রহন। লামা সদরে একটি কারিগরী স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ উপজাতীয় আবাসিক হোষ্টেল চালু ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনিষ্টিটিউট স্থাপন, সাবেক লামা মহকুমাকে দূর্নীতিমুক্ত করণের মাধ্যমে সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রমের সুফল জনগোষ্ঠির মাঝে পৌঁছে দেয়া। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের সাবেক লামা মহকুমাকে প্রশাসনিক জেলায় রুপান্তরের জন্য জাতির জনক কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য বিষয়ক প্রতি মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির আশু হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন নেতৃবৃন্দরা।