ডেস্ক নিউজ:
অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণ, অপরাধীদের পাকড়াও করা এবং প্রকৃত অপরাধীকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এখন ব্যবহৃত হয় ডিজিটাল পদ্ধতি। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয় প্রকৃত অপরাধীদের। এভাবেই খুব সহজে ও দ্রুত অপরাধীদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সম্ভব হয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নানামুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এবার সমুদ্র-শহর বা পর্যটন-শহর বলে খ্যাত কক্সবাজারকেও সিসিটিভির আওতায় আনছে পুলিশ। কক্সবাজার এবার সিসিটিভির আওতায় আসছে একথা জানালেন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. একে. এম ইকবাল হোসাইন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি ছবি এক হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। আর একটি ফুটেজ লক্ষ শব্দের অর্থ ফুটিয়ে তুলতে পারে। সে কারণেই পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে শহরের কলাতলী থেকে বার্মিজ মার্কেট পর্যন্ত ১৫০টি সিসিটিভি বসানো হবে।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি রণজিৎ বড়ুযা বলেন, ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১২টায় কক্সবাজার জেলা পোস্ট অফিসের সামনে থেকে এক যুবকের মোটর সাইকেল চুরি যায়। এর কিছুক্ষণ পরই সদর থানায় অভিযোগ করেন সেই যুবক। অভিযোগ পেয়ে সদর থানার পুলিশ মোটর সাইকেল চোরকে চিহ্নিত করতে ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের সিসি টিভি’র ফুটেজ সংগ্রহ করে। ফুটেজ থেকেই মোটর সাইকেল চোরকে চিহ্নিত করে পুলিশ। সেদিন রাতেই মোটর সাইকেল চুরির দায়ে ফুটেজে শনাক্ত হওয়া দুই মোটর সাইকেল চোরকে আটক করা হয়।

সিসিটিভি’র ফুটেজ দেখে দুই মোটর সাইকেল চোরকে সনাক্ত ও আটক করে পুলিশ। ছবি; বাংলানিউজকক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, ১০/১৫ দিন আগে সমুদ্র-শহরের হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় এক বিদেশি পর্যটক তার ব্যাগ হারিয়ে ফেলেন। ব্যাগে তার পাসপোর্ট, ক্যামেরা, টাকা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ছিল। পরে তিনি জেলা পুলিশের সহযোগিতা চান। আমরা তার মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে হোটেল মোটেল জোনে কয়েকটি হোটেলে থাকা সিসিটিভি’র ফুটেজ সংগ্রহ করি। সেখান থেকে দেখতে পাই ওই পর্যটক একটি টমটমে(ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) তার ব্যাগটি ফেলে এসেছেন। এরপর আমরা টমটম চালককে চিহ্নিত করে পর্যটকের ব্যাগটি উদ্ধার করি।
শুধু অপরাধীদের ধরতে নয়, সিসিটিভি অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে দাবি করে কক্সবাজার সদর থানার ওসি (অপারেশন ) মাঈন উদ্দিন বলেন, একজন অপরাধীকে আটক করার পর পুলিশের কাজ হয় আদালতে তার অপরাধ প্রমাণ করা। সেক্ষেত্রে অনেক সময় স্বাক্ষীর অভাবে বা আলামত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পুলিশ সেটি প্রমাণ করতে পারে না। তবে ফুটেজ থাকলে আদালতে অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করা অনেক সহজ হয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সিসিটিভি একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভূমিকা পালন করে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন, পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করেছে–এরকম উদাহারণ অহরহ রয়েছে। আধুনিক যুগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সিসিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এবিষয়টিকে মাথায় রেখেই অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সমুদ্র-শহর কক্সবাজারকে সিসিটিভি’র আওতায় পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একে.এম ইকবাল হোসাইন জানান, কক্সবাজার পৌরসভা, হোটেল-মোটেল মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, ব্যাংক বীমার কর্মকর্তাগণ ও কক্সবাজার চেম্বার অব কর্মাসের সার্বিক সহযোগিতায় পর্যটন শহর কক্সবাজারকে সিসিটিভির আওতায় আনা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে কলাতলী থেকে শুরু করে বার্মিজ মার্কেট পর্যন্ত ১৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এই সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে। এর জন্য একটি