নুসরাত পাইরিন :
শহরের প্রধান সড়ক সংস্কারের কাজ অত্যন্ত ঢিলেতালে। এতে ভরা পর্যটন মৌসুমে প্রধান সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশি বিদেশী পর্যটক সহ স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগে পড়ে গেছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন ও খানাখন্দকে ভরপুর ছিল। গতবর্ষা মৌসুমে জনগণকে পোহাতে হয়েছিল চরম দূর্ভোগ।প্রধান সড়কের উন্নয়নের জন্য কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে আরসিসি সড়ক উন্নয়নের জন্য টেন্ডার করা হয়। টেন্ডার হওয়ার পর গত মাসের বেশি সময় ধরে সড়ক সংস্কারের চলছে। এলাকায় বাঁশ ও ড্রাম বসিয়ে জন এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে পুরো শহর দুভাগের বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

এদিকে, বর্তমানে চলছে পর্যটনের ভরা মৌসুম। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি বিদেশী পর্যটক এখানে কক্সবাজার আসছেন। কিন্তু গত মাস খানেক পুর্বে থেকে পর্যটকসহ স্থানীয়দের চলাচল করতে দারুন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

জানা যায়, বছরের শেষদিন থার্টিপাষ্ট পালন করতে ৫ লাখের উপর পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যার কারনে যানবাহনও বাড়বে বলে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের ধারনা। এবার দেশীয় পর্যটকের হার বাড়বে । কিন্তু প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় শহরের হালকা যান বাহনগুলো প্রবেশ করতে পারছে না। বাস টার্মিনাল থেকে আলিরজাহাল এসে শহরে প্রবেশ করতে  আবার হাটতে হয় কলেজ,স্কুল,মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ সরকারী বেসরকারি চাকরিজীবী ও সাধারণ মানুষের ।  রিক্সা, টমটম ও সিএনজি বদলের কারণে একই গন্তব্যে যেতে ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুন। বিকল্প সড়কে চলাচল করতে গিয়ে কলাতলি বাইপাস সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গিয়ে দীর্ঘযানজট লেগেই রয়েছে। রয়েছে ছিনতাইকারীদের ভয়। এতে করে দুর্ভোগও আতংকিত হয়ে পড়ছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা।

জানা গেছে, প্রধান সড়ক মেরামতের ব্যাপারে জরুরী কোন বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়নি। এই কাজটি কখন শেষ হবে এবং যানবাহন বিকল্প কোন সড়কদিয়ে চলাচল করবে সেই বিষয়েও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

লোকজনের অভিযোগ, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি মেরামত হচ্ছে এটা জনগণ খুশি। কিন্তু রাস্তা সংস্কার করতে গিয়ে যদি আরো দুর্ভোগ বেড়ে যায় তাহলে জনগণের করার কিছু থাকে না। রাতের বেলায় সড়ক মেরামত করা অথবা এক অংশ করে পর্যাক্রমে সম্পন্ন করার দাবী জানান পৌরবাসীও পথচারীরা। এতে করে পর্যটকসহ স্থানীয়দের চলাচলে দুর্ভোগ অনেকটা কমে আসবে বলে তাদের ধারনা।