সংবাদদাতা:
দলীয় কর্মসূচি বিরোধী অবস্থান, নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি ও সরকার দলীয় নেতাতের সাথে আঁতাত ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া মাতামুহুরী বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে। এসব কারণে তার উপর চরম ক্ষুব্ধ দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিশেষ করে সম্প্রতি বদরখালী ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সম্মেলন নিয়ে মোহাম্মদ আলীর ভূমিকায় অনেকে অসন্তুষ। তার প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের কারণে সেই অসন্তুষের ঢালপালা ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে। দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ওঠেছে তৃণমূল থেকে।
বদরখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ফখরুদ্দিন অভিযোগ করেন, গত ৪ ডিসেম্বর ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সম্মেলন ছিল। কুতুবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যথারীতি সম্মেলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। সম্মেলন শুরুর আগে বিকাল ৩টায় থানার ওসি ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়েছে কিনা জানতে চায়।
এরপর তাদের স্কুল মাঠে সম্মেলন না করতে নির্দেশ দেয় ওসি। ওই সময় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীও সময় থানায় বসা ছিলেন বলে নেতারা জানায়। পরে দলীয় কার্যালয়ে তাদের সম্মেলন করতে হয়। নির্ধারিত স্থানে সম্মেলন করতে না দেয়ার পেছনে মোহাম্মদ আলীর ইন্দন রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।
বদরখালী যুবদলের আহবায়ক দিদারুল ইসলাম মুজিব জানান, এর আগে তাদের ৮টি সম্মেলন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও সমস্যা হয়নি। মোহাম্মদ আলীর স্ববিরোধী অবস্থানের কারণে ৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সম্মেলন যথাস্থানে করা সম্ভব হয়নি।
একই অভিযোগ বিএনপি নেতা আলী আকবরসহ অন্তত ২০ জন নেতার। তারা মোহাম্মদ আলীর ব্যাপারে গণমাধ্যমকে সুষ্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। এসব নেতারা সংগঠনের কর্মসূচির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী নেতার শাস্তি দাবী তৃণমূলের।
এ ব্যাপারে অবিযুক্ত মোহাম্মদ আলীর বক্তব্য জানতে ফোন করে পাওয়া যায়নি।