মো. রেজাউল করিম, ঈদগাঁও:
ইপসা ফেয়ার লেবার মাইগ্রেশন (এমএলএফ) কর্মসূচীতে অভিবাসন বিষয়ক অভিযোগগুলো গ্রহণ করে তথ্য, উপাত্ত এবং সাক্ষ্য বিবেচনা করে পারষ্পরিক সমঝোতা ও সুবিধার বিষয় আমলে নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে অভিবাসন অভিযোগগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হয়। প্রয়োজনে অধিকতর আইনী সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানে রেফার করা হয়।
২৩ ডিসেম্বর সকালে ঈদগাঁওতে আয়োজিত পরামর্শ সভায় গ্রিভেন্স ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যকারিতা তুলে ধরতে গিয়ে আয়োজকরা এ পরিচয় প্রদান করেন। ইউকে এইড, বৃটিশ কাউন্সিল ও প্রকাশ এর সহায়তায় বেসরকারী সংস্থা ইপসা কর্তৃক এ সভার আয়োজন করা হয়। ‘অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা সমূহের সেবার তথ্য প্রকাশ এবং অভিবাসন বিষয়ক অভিযোগ গ্রহণ প্রক্রিয়ার কার্যকরণে সামাজিক শালিস’ এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয় এ সভায়। বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংবাদিক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে মেহেরঘোনা নূরে কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ইপসার চট্টগ্রাম অফিস কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন, মনিটরিং এন্ড লার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু তাহের, ঝিলংজা ইউনিয়ন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরুন বড়–য়া এবং ইপসা- ফেয়ার লেবার মাইগ্রেশন (এমএলএফ) ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট কর্মকর্তা ইয়াছিন উদ্দীন সাকিল। মতামত ও পরামর্শ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক শেফাইল উদ্দীন, নাছির উদ্দীন, আনোয়ার হোছাইন, জিএমসি সদস্য মোহাম্মদ হারুন, ইয়ুথ ভলান্টিয়ার সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ, শিক্ষিকা রোজিনা আক্তার, সমাজ সেবক নুরুল হুদা, প্রবাসী ফরিদুল ইসলাম, জিএমসি সদস্য মিজবাহ উদ্দীন, সমাজ কর্মী শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, রাবেয়া খানম প্রমুখ। আলোচকরা বলেন, অভিবাসন বিষয়ে কাজ করতে হলে সবার আগে নিজেকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কার্যকর জিএমসি কমিটি না হলে বিরোধ নিষ্পত্তি করা যাবে না। নিরাপদ অভিবাসন সময়ের দাবীতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে পরামর্শ দাতারা বলেন, অভিবাসন বিষয়ে গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতা জোরদার করতে হবে। মামলা নিষ্পত্তিতে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করলে জিএমসিতে অভিযোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। অভিবাসীদের নিজেদের অদক্ষতা এবং অসচেতনতা কমাতে হবে। নিরাপদ অভিবাসনের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিবাসন সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় প্রকল্প এলাকাকে মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরিত করা এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে জিএমসি ও স্বেচ্ছাসেবী কমিটি গঠন করা হয়। তাদের মতে, বিশে^র বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের এক কোটি লোক অভিবাসী হিসেবে কাজ করছে। তারা তুলনামূলকভাবে অদক্ষ। সে কারণে দিনভর পরিশ্রম করেও তাদেরকে কম পারিশ্রমিক নিতে হয়। অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের অথনৈতিক চাকাকে সমৃদ্ধ করতে হলে বিদেশগামীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ আয়ত্ব করা, ইংরেজীসহ সংশ্লিষ্ট দেশের ভাষা জানা অপরিহার্য্য। অন্য দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আমাদেরকে বিদেশে লোক পাঠাতে হবে। তবেই তারা সেখানে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ করতে পারবে।