নুসরাত পাইরিন:

অর্থমন্ত্রণালয়ের আওতায় স্কিল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম ( সেইপ ) আয়োজিত জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে অনুষ্ঠিতআলোচনা সভায় সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন । জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সেইপ প্রকল্পের জেন্ডার এন্ড সোশালডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম- সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। প্রধান অতিথি মহোদয় বলেন, সরকার আগামী ৫ বছরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫ লক্ষদক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে কাজ করছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে প্রশিক্ষন দেয়া হবে প্রায় এক লক্ষ গাড়ি চালককে। 

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন. মাননীয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সারা দেশে নানান ধরনের মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে সেইপ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষজনশক্তি গড়ে তোলা হচ্ছে। কারণ জনশক্তি যদি দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা না যায় তাহলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। সুবিধাবঞ্চিতরাও এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ পাবেপাশাপাশি সারা দেশের যুবদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে এসএমই খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। দিনব্যাপীকর্মশালায় সেইপ প্রকল্পের কন্টেন্ট ডেভেলোপমেন্ট স্পেশালিষ্ট ড. ওয়ালিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিষ্ট্রেটবৃন্দ,সরকারিবিভিন্ন দপ্তর,এনজিও,সুশীল সমাজ,সাংবাদিকসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় জানানো হয়, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), ডিজিটাল মার্কেটিং, টেকনিক্যাল আইটিসাপোর্ট, কাস্টমার সাপোর্ট অ্যান্ড সার্ভিস ও আইটি সেলস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণের মেয়াদ এক মাস। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (পিএইচপি), ওয়েবডেভেলপমেন্ট (ডটনেট), মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ক্লাউড ম্যানেজমেন্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ইংলিশ কমিউনিকেশন ও বিজনেস কমিউনিকেশনবিষয়ে প্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন মাস। প্রকল্পের শর্তানুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ সফলভাবে কোর্স সম্পন্নকারীদের মধ্য থেকে ৭০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থীর চাকরির ব্যবস্থা করবে। এইপ্রশিক্ষণে নারী, প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর এলাকার মানুষের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ থাকবে। সেইপ প্রকল্পে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে।