মহেশখালীতে ডাম্পার চাপায় স্কুলছাত্রী নিহতের বিচার দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০৩:৩২

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ডাম্পার চাপায় স্কুল ছাত্রীর বিচারের দাবীতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে মানববন্ধন।

এ.এম হোবাইব সজীব:
মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া চালিয়াতলী বালুর ডেইল স্টেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার ডাম্পার চাপায় নিহত সুমাইয়া জন্নাত দিয়া (১১) এক স্কুলছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ঘাতক ডাম্পার গাড়ীর ড্রাইভার ও মালিককে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জনতা। কালারমারছড়া চালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে আয়োজনে ২০ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মহেশখালীর কালারমারছড়া চালিয়াতলী বালুরডেইল স্টেশনের প্রধান সড়কে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্যকালে বলেন, ডাম্পার চাপায় চালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য সমাপ্ত প্রাথমিক সমাপনি পরীক্ষার ফলপ্রার্থী সুমাইয়া জন্নাত দিয়া (১১) স্কুলছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ৮ তিন অতিবাহিত হলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে ডাম্পার গাড়ীর প্রভাবশালী মালিক মাতারবাড়ী মিয়াজির পাড়া এলাকার কবির আহমদের পুত্র মোঃ ফয়েজ প্রকাশ (লুলাইয়া) ও গাড়ীর ড্রাইভার মোঃ মামুনুর রশিদ।

তারা আরোও বলেন, চালিয়াতলী বালুমহাল থেকে বালু বোঝাই করে যাওয়ার পথে ডাম্পারটি বালুর ডেইল স্টেশনে অবস্থানরত স্কুল ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। এতে পড়ে গেলে ফের পিছনে এসে ডাম্পারটি আহতকে উদ্দ্যেশমূলক চাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উত্তর নলবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক- মাষ্টার রফিকুল আলম বলেন, আমরা ন্যাক্করজনক এ ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির দাবি করছি। এ জন্য বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকÑশিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের সাথে একত্র হয়ে মানববন্ধনও প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবিটি তুলে ধরেছি। কারণ আগামীতে যেন অদক্ষ গাড়ী চালকের কারনে অকালে কারা প্রাণ ঝড়ে না যায়।

নিহত স্কুল ছাত্রীর চাচা চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র মোঃ ফারুক বলেন, ঘাতক গাড়ীর মালিক শোকাহত পরিবারকে শান্তনা দিতে আসেনি। এটা খুব দুঃখজনক। তাই গাড়ীর মালিক ড্রাইভারের শাস্তির দাবি করছি।

বক্তব্য রাখেন, স্থানিয় ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ছৈয়দ, যুবলীগ নেতা আজিজুল হাসান রনি, মৌঃ জয়নাল আবেদিন, ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সায়েম ও এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে শতশত শিক্ষার্থী নারী-পুরুষ সহ স্থানিয় লোকজন গাড়ি মালিকের শাস্তির দাবিতে সড়কে শুয়ে পড়েন। এক ঘন্টা পর্যন্ত গাড়ী চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়ে পথচারী মানুষ। পরে মহেশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গিয়ে গাড়ী চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানালে শিক্ষার্থীসহ নারী-পুরুষ সড়ক থেকে উঠে যায়। দুপুর ১২ টার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, স্কুল ছাত্রী নিহতের ঘটনাটি আসলে খুবই দুঃখজনক। এব্যাপারে নিহতের পরিবারকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।